রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকে, কখনো বিরোধী দল, কখনো নিজদের মধ্যেই প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতাটা যদি মানবসেবা ও সুস্থ ধারার হয় তখনই প্রতিযোগিতা সুন্দর হয়। কিন্তু যখন কেউ কারো সাথে প্রতিযোগিতা করে পেরে উঠে না,তখনই অনেক সময় দেখা যায় জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে নোংরা ষড়যন্ত্রে মাতে।
জানাযায়, গত ১৬ আগষ্ট, বুধবার মুকসুদপুর উপজেলার বেশ কিছু স্থানে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগষ্টে নিহত শহীদ, জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং জননেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির ছবি সংবলিত কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেনের ব্যানার ভেঙ্গে ও ছিড়ে ফেলেছে দুর্বত্তরা ।
রাজনীতির মাঠে যারা দুর্বল তার প্রতিপক্ষের সাথে না পেরে তার পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে। এ সংস্কৃতি অনেক পুরোনো।
যুগের পরিবর্তন হলেও এই হিংসা এবং অপারগতার বহিঃপ্রকাশের মাধ্যম এখনো রয়ে গেছে আমাদের মাঝে। তারই ধারাবাহিকতায় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় শোকাবহ ১৫ আগষ্টের ব্যানার ভেঙ্গে ফেলার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে।
নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবে। সেক্ষেত্রে কারো জনপ্রিয়তা বেশি, হয়তো কারো কম। কিন্তু কারো জনপ্রিয়তা দেখে, তার বিলবোর্ড ফেস্টুন কেটে নিবে, ছিঁড়ে ফেলবে, এটা কেমন রাজনীতি।
মুকসুদপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কাঁদা ছোড়াছুড়ি অনেকে দিনের।
এই কাঁদা ছোড়াছুড়িতে অনেক নেতারা নাম লেখালেও, নাম লেখায়নি শাহাদাত হোসেন। তাই সব পক্ষের নেতা-কর্মীরাই তাকে ভালোবাসে। শাহদাত হোসেনের এই জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এক দল কুচক্রী মহল নোংরা রাজনীতিতে মেতেছে। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং জননেতা ফারুক খান এমপির ছবি সংযুক্ত কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেনের ব্যানার ছিড়ে ফেলে দিয়েছে কিছু দুর্বৃত্তরা। এমন কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আওয়ামী লীগের প্রতিটি সভায় কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেনের ব্যানার-ফেন্টুন থাকে সবার চোখে পড়ার মত।
কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্বিদ্যালয়, ময়মনসিংহের ৯০ পরবর্তী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ‘আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন, একটি হল শাখার সহ-সভপতি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং ছিলেন মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সস্পাদক।
বর্তমানে কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নং সাংগঠিনক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর-কাশিয়ানীর আংশিক) আসনের জননেতা মুহাম্মদ ফারুক খান এমপির বিশ্বস্ত ও আস্থাভাজন একজন কর্মী হিসাবে পরিচিত।
দীর্ঘ দিন ধরে কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেন মুকসুদপুরের রাজনীতিতে জড়িত। গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়ে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে যাওয়া এই ব্যক্তিটি সব সময় হিংসা বিদ্বেষ কে দূরে ঠেলে সবাইকে কাছে টেনে নিয়ে মুকসুদপুরে আওয়ামী লীগের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছেন।
এ বিষয়ে কৃষিবিদ শাহাদাত হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি দৈনিক বাঙ্গালী খবরকে বলেন, এ ধরনের জঘন্য কর্মকান্ডকে নিন্দা জানাই। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী। বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও নৌকাকে ধারণ করি সেই ছাত্র অবস্থায়। নৌকার লোক হিসাবে কাজ করছি নৌকার ভোট বাড়াতে। দলে প্রতিযোগিতা থাকবে এবং সে প্রতিযোগিতা হতে হবে কে কত বেশি নৌকার ভোটার বাড়াতে পারে। কে কত ভালো কাজ করে মানুষের মন জয় করতে পারে, কে কত বেশি মানুষের কাছে যেতে পারে। প্রতিযোগিতা হবে সুস্থ ধারার। অসুস্থ, নোংরা মানসিকতার প্রতিযোগিতা পরিহার করতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমি আজ পর্যন্ত আমার কোন রাজনৈতিক বক্তব্যে আমার কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে কখনোই বিরুদ্ধাচারণ করিনি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, একজন দলীয় কর্মী হিসেবে আমার দলের পক্ষে, নৌকার পক্ষে, জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে হবে মন থেকে। তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যারা সত্যিকার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে, যারা ব্যক্তিগত রাজনীতি করে না, তারা প্রত্যেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করবেন।
আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের জঘন্য কাজ আওয়ামী লীগের কোন নেতা বা কর্মী করতে পারে না। যারা দলে অনুপ্রবেশ কারী, যারা ব্যক্তিলীগের কর্মী, তারা এধরনের কাজ করতে পারে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যের বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে হারাতে পারে এমন শক্তি নেই। সকলের শুভবুদ্ধির উদয় হউক। আমরা নৌকার লোক, আসুন নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সকলে এক সাথে কাজ করি।