আজ যে মেধাবি শিক্ষাবৃত্তি নিচ্ছে আগামীতে প্রতিষ্ঠিত হয়ে সমাজের জন্য ভূমিকা রাখবে। আমরা যারা স্বাবলম্বী প্রত্যেকেই স্ব স্ব উদ্যোগে যদি দরিদ্র ও মেধাবিদের পাশে দাড়াই তাহলে তারাও একদিন সমাজের উচ্চতর অবস্থানে পৌছে যাবে। ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মন্ত্রী পরিষদের সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্ল্যার সভাপতিত্বে বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিইআরসি’র চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫৭ জন মেধাবি শিক্ষাথিদের হাতের বৃত্তির অর্থ তুলে দেওয়া হয়।ফরিদপুর ফাউন্ডেশন ২০০৩ সাল থেকে ফরিদপুরের মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তার জন্য নিয়মিত বৃত্তি প্রদান করে আসছে, যেখানে সাধারণত বেতন, পোশাক, ব্যাগসহ শিক্ষা উপকরণ ও নগদ অর্থ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুর রহমান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামছুল আজম, প্রফেসর এম এ সামাদ, অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাইনুদ্দীন মনির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি সুষ্মিতা সাহা, ফরিদপুর ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মফিজ ইমাম মিলন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, এখন যারা বৃত্তি নিচ্ছে আমি বলতে দারিদ্র অসহায় বলে কিছু নেই, এরা সকলেই মেধাবি, এটাই তোমাদের একমাত্র পরিচয়। মেধাবির জন্য সমাজকে উপযুগি অনেক বেশি বড় দায়িত্ব থাকে, আশা করি তোমরা সেই দায়িত্ব পালন করবে।তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের স্বপ্ন দেখতে আকাশছোঁয়া, আর সেই লক্ষ্যে পৌছতে পড়া-লেখায় পরিশ্রম করতে হবে, তবে তোমার কাছ থেকে পিতা-মা, সমাজ ও দেশ উপকৃত হবে। দেশ গঠন এবং শিক্ষা বিস্তারে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৫ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৭ জন শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ১০ (দশ) হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।