দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ তোলার দায়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এবং মহারাজপুর ইউনিয়ন যু্বদলের সাধারন সম্পাদককে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
কারন দর্শানোর নোটিশ পাওয়া ওই নেতারা হলেন, মুকসুদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা গাজী ও মহারাজপুর ইউনিয়ন যু্বদলের সাধারন সম্পাদক মো: এনামুল হাসান মাসুদ।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরা ও সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, আপনার বিরুদ্ধে গুরুত্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উথ্থাপিত হয়েছে। এই পত্র প্রাপ্তির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির কায্যালয়ে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে আপনার বিরুদ্ধে কেন চুড়ান্ত সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না তার লিখিত ব্যাখ্যা প্রদান করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপনার জবাব সন্তোষজনক না হলে অথবা আপনি স্বশরীরে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হলে অভিযোগের বিষয়ে আপনার কোন বক্তব্য নেই বলে গণ্য হবে এবং আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপরদিকে, মুকসুদপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহফুজ হাসান স্বাক্ষরিত এক পত্রে উল্লেখ করা হয়, আপনাকে এই মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, আপনি মহারাজপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনার কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমাদের দৃস্টিগোচর হয়েছে। এ অবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না। আগামী ৩ দিনের মধ্যে দলীয় কায্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
এ ব্যাপারে মুকসুদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা গাজীর মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে মহারাজপুর ইউনিয়ন যু্বদলের সাধারন সম্পাদক মো: এনামুল হাসান মাসুদ বলেন, বনগ্রাম এলাকায় একটি জমি নিয়ে ছাত্রদল নেতার বিরোধ ছিলো। এটা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছিল। কিন্তু ওই ঘটনার সময় এলাকায় ছিলাম না। আমি ইতিমধ্যে কারণ দর্শানোর ব্যখ্যা দিয়েছি।
মুকসুদপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহফুজ হাসান বলেন, কারো ব্যক্তিগত দায় দল নিবে না। যে কারনে তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে আমি এখনো ব্যাখা দেযার কোন পত্র পাইনি। তবে তিনি অফিসে দিয়ে থাকলে আমার জানা নেই।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরা বলেন, মুকসুদপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা গাজীকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। তিনি জবাব দিয়েছেন এবং তা সন্তোসজনক মনে হয়েছে। বিষযটি দলীয়ভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।