1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জে ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষে দক্ষতা বৃদ্ধিতে পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ চলছে। মধুখালীতে ইউপি সদস্য সেলিম শিকদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ইয়াবা ও গাঁজা সেবনরত অবস্থায় প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার প্রতারক আকাশ বরের বিয়ে ব্যবসা: তদন্তের দাবি এলাকাবাসীর সদরপুরে অবৈধ মাছ ধরায় ২২ জেলের কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার মিটার জাল জব্দ ফরিদপুরে ডিজিটাল সম্মেলন কক্ষ ‌ও সুবিধা ভোগীদের সরঞ্জাম ‌দিলেন জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জে বিশ্ব মান দিবস পালিত সদরপুরে যাত্রী বেশে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় আটক- ১ সদরপুরে মা ইলিশ ধরায় ৭ জেলের কারাদণ্ড ক্লাস থেকে ডেকে নিয়ে শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধন

গোপালগঞ্জ-১ সংসদীয় আসন: ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে একক প্রার্থী বিএনপিতে ৩ জন

বাঙ্গালী খবর রিপোর্ট
  • Update Time : বুধবার, ১৩ আগস্ট, ২০২৫
  • ১০৭ Time View

****ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে সস্তি রয়েছে। বিএনপিতে মনোনয়ন প্রাত্যাশী বেশী হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে দন্দ।***

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভাব্য তফশিল ঘোষনা হওয়ায় মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অভ্যুত্থানপন্থী দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
গোপালগঞ্জ-১ (মুকসুদপুর কাশিয়ানী আংশিক) সংসদীয় আসনে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এ আসনে ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর মাও: আব্দুল হামীদ দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। ইসলামী আন্দোলনে অ্যাড. মিজানুর রহমান দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হয়েছেন। কিন্তু বিএনপিতে তিন জন মনোনয়ন প্রাত্যাশী প্রার্থী । ইসলামী আন্দোলন ও জামায়াতে ইসলামীর একক প্রার্থী হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে সস্তি রয়েছে। বিএনপিতে মনোনয়ন প্রাত্যাশী বেশী হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে দন্দ। অন্যন্য প্রার্থীকে হারাতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজছেন তারা। তাদের ৩ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর পেছনে নেতাকর্মীরা এখন কয়েক ভাগে বিভক্ত। কার পেছনে কে থাকবেন, কে পাচ্ছেন মনোনয়ন- এ নিয়ে ভাবনার কোন কিনারা পাচ্ছেন না নেতাকর্মীরা। এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) সেলিমুজ্জামান সেলিম, দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি এফ ই শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর।
এ আসনে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক মাঠে নতুন করে উত্তাপ তৈরি হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী এখন থেকেই জনসংযোগ, উঠান বৈঠক ও স্থানীয় সমস্যা তুলে ধরে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করছেন। বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা গত ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর থেকেই এলাকায় সক্রিয়। সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। ঈদ পরবর্তী সময়ে একাধিক ইউনিয়ন ও পথসভায় নেতাকর্মী এবং এলাকাবাসীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সম্প্রতি শোডাউনের চেষ্টা করলেও এখনো কমিটি দিতে পারেনি। গণঅধিকার পরিষদেরও উল্লেখযোগ্য কোনো তৎপরতা নেই এই আসনে। তবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জামায়াত ইসলামী আলাদা করে প্রার্থী দিয়েছে। মাঠেও তাদের সরব উপস্থিতি আছে। আবার ইসলামপন্থী দলগুলোর জোট করার আলোচনা চলছে। সেটি হলে পাল্টে যেতে পারে প্রার্থী মনোনয়নের চিত্র। পাল্টে যেতে পারে সব হিসাব-নিকাশ।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিমুজ্জামান তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এফ রহমান হলের ছাত্রদলের সভাপতি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ১ম যুগ্ন আহবায়ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের ১ম যুগ্ন সম্পাদক , যুবদল কেন্দীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক।
তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে গোপালগঞ্জে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করতে দীর্ঘ প্রায় দুইযুগ নেতাকর্মীদের বিপদ-আপদে পাশে থেকেছি। বিতাড়িত স্বৈর শাসকের ১৫ বছরে প্রায় অর্ধ শতধিক মামলা মাথায় নিয়ে কেন্দ্রীয় ঘোষিত সকল কর্মসূচীতে পুলিশের বাধা সত্ত্বেও মুকসুদপুর – কাশিয়ানীতে প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করেছি। একাধিক বার জেল খেটেছি। নিজের পরিবারকে বিপদের সম্মুখীন করেছি বারবার। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বাধার কারণে ঠিকমত নিজের বাড়িতে একদিনও রাত কাটাতে পারিনি। এমন কি নিজের বাবা-মার কবর ও জিয়ারত করতে পারিনি। জেল – জুলুম, নীপিড়ন – নির্যাতন সহ্য করে নেতা কর্মীদের নিয়ে দলের জন্য সংগ্রাম করেছি। দলকে সুসংগঠিত করতে কঠোর পরিশ্রম করেছি। বর্তমানে মুকসুদপুর কাশিয়ানীতে বিএনপি একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আমি যখনই সুযোগ পেয়েছি মুকসুদপুর কাশিয়ানী উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ঘুরে গরীব মেহনতী মানুষের খোঁজখবর নিয়েছি। প্রতিটি মানুষের সাথে আমি মিশেছি।
তাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমার অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য এলাকার ভোটাররা আমাকে কথা দিয়েছেন তারা আমার পাশে থাকবেন এবং আমাকে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করছি বিগত দিনে আমার পরিশ্রমকে মূল্যায়ন করে দল আমাকে মনোনয়ন দেবে সে প্রত্যাশা। আমি ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হবো ইনশাল্লাহ।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আরেক প্রার্থী মুকসুদপুর উপজেলার কালিনগর গ্রামের পীর বংশের সন্তান অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। তার মরহুম পিতা পীর সাহেব সৈয়দ মোকারম হোসেন।
তিনি বলেন, ঢাকায় আইন ব্যবসা করার সুবাদে বিগত স্বৈরসরকারের আমলে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা কর্মীদের নামে হাজার হাজার মামলা হয়েছে। এসব মামলা আমি বিনা পারিশ্রমিকে মোকাবিলা করেছি। অনেক অসহায় কর্মীদের আর্থিক শংকটে তাদের সহযোগীতার চেষ্টা করেছি। আমার পূর্ব পুরুষেরা হাজার হাজার মানুষকে সৎপথে থেকে জীবন যাপনের শিক্ষা দিয়েছেন। আমিও সে শিক্ষা নিয়ে পথ চলতে শিখেছি। ‘আমি জনগণের সেবক হতে চাই। কখনো দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বসহ কোনো অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলাম না। আমার বিগত জীবনের কর্মকান্ড বিবেচনা করে দল আমার ওপর আস্থা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
গোপালগঞ্জ সদরের শরফুজ্জামান জাহাঙ্গীর মরহুম ফায়েকুজ্জামানের পুত্র। তার চাচা ওয়াহিদুজ্জামান ছিলেন পাকিস্তান আমলের বানিজ্য মন্ত্রী। তাদের আদি নিবাস কাশিয়ানী উপজেলার শীতারামপুর গ্রামে।
তিনি বলেন ,‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমাকে জাতীয়তাবাদী দলে সম্পৃক্ত করেন। এরপর থেকে বিএনপিতেই আছি। অনেক চড়াই-উতরাই পার করেছি। একবার গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে এমপিও হয়েছি। এবার গোপালগঞ্জ-১ ও ২ আসন থেকে মনোনয়ন চাইব। দল যেখানে দেবে সেখান থেকেই নির্বাচন করব।
মুকসুদপুর উপজেলার টেংরা খোলা গ্রামের মুসলিম পরিবারের সন্তান ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী অ্যাড. মিজানুর রহমান । সাবেক ছাত্রনেতা ও ইসলামী আইনজিবি পরিষদের কেন্দ্রয়ী সংগঠনিক সম্পাদক বর্তমানে তিনি সাংবাদিকতায় কর্মরত আছেন দৈনিক নবরাজ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ও পত্রিকার ইনচার্জের দায়িত্বে আছেন। তিনি নিয়মিত গনসংযোগ, সভা সেমিনার , শালিস মিমাংসাসহ সাধারণ মানুষের কাছে দোয়া ও হাতপাখায় ভোট চাচ্ছেন। মুকসুদপুর ও কাশিয়ানিতে চরমোনাই পীরের বিপুলসংখ্যক মুরিদান ও দলীয় সমর্থক রয়েছেন।
ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী অ্যাড. মিজানুর রহমান জানান, মুকসুদপুর উপজেলা ও কাশিয়ানিতে আমাদের হাতপাখার রিজার্ভ ভোট রয়েছে। আগামি ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে হাতপাখা জয়লাভ করবে ইনশেআল্লাহ।
মুকসুদপুর বাজারের ব্যবসায়ী বলেন, “মুকসুদপুর পৌরসভা অনেক পুরনো হলেও উন্নয়ন হয়নি বললেই চলে। রাস্তাঘাট, নালার অবস্থা খুবই খারাপ। এসব উন্নয়নে যিনি আন্তরিক হবেন তাকেই ভোট দেবো।”
কৃষক লাল মিয়া বলেন, “আমরা চাই কৃষকের সমস্যা বোঝে এমন একজন এমপি। সার-বীজের দাম, ফসলের ন্যায্য মূল্য এসব দেখতে হবে। শুধু দল নয়, কাজ করার মানুষ দরকার।”
নতুন ভোটার কলেজ ছাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, “ভোট দেওয়ার অধিকার সবার আছে। কিন্তু সেটা যেন নিরাপদ ও নিরপেক্ষ হয়, সেটাও জরুরি। আমরা চাই গণতন্ত্র ফিরে আসুক, ন্যায্যভাবে মানুষ ভোট দিতে পারুক।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ-১ আসনে বিরোধী শিবিরে যেমন ঐক্যের বার্তা আছে, তেমনি অভ্যন্তরীণ প্রতিযোগিতাও রয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা এবার প্রার্থীরা যেন কথায় নয়, কাজে প্রমাণ দেন।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তথ্য অনুযায়ী গোপালগঞ্জ ১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮ শত ২২, পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৩ শত ৫৩, মহিলা ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার ৪ শত ৬৯ জন, মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১৩৮টি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!