ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জেনারেল হাসপাতালটি যেন রীতিমতো গাঁজার বাগানে পরিণত হয়েছে। হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রকাশ্যেই বেড়ে উঠেছে কয়েকশো গাঁজার গাছ। সকলের সামনে দিনের পর দিন এই গাঁজার গাছ গজিয়ে উঠেছে।
একশো বছরের প্রাচীন ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি গত কয়েকবছর যাবত ধুঁকছে নানা সমস্যায়। তারপরও জেলা সদরের এই হাসপাতালে প্রতিদিন ভিড় করে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকশো রোগী। রোগীর ভিড়ে হিমশিম খান ডাক্তারেরা। কর্তৃপক্ষের হয়তো একারণে হাসপাতালের দিকে একটু ভালোভাবে নজর দেয়ার ফুরসৎও মিলেনা। আর একারণেই হয়তো হাসপাতালের অভ্যন্তরে জনচলাচলের রাস্তার পাশেই গড়ে উঠেছে একের পর এক গাঁজার বাগান।
জেনারেল হাসপাতালের উত্তর দিকে স্টাফ কোয়ার্টারের পথের দুই ধারে ও হাসপাতাল থেকে মসজিদে যেতে পথের ধারে প্রকাশ্যে এভাবে শত শত গাঁজার গাছের বেড়ে ওঠার দৃশ্য দেখে চমকে উঠতে হয়। এও কি সম্ভব? তাও সপ্তাহ কিংবা মাস নয়, বছরের পর বছর ধরে নাকি এভাবেই গাঁজা গাছগুলো বেড়ে উঠেছে।
হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানান, প্রায় চার-পাঁচ বছরযাবত এই গাঁজার গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। আগে আরো বেশি ছিলো। অনেকগাছ কেটে তারা পরিস্কার করেছেন। তারপর আবার হয়েছে। সকলের সামনেই বেড়ে উঠেছে। কিছু ছেলেপুলে এগুলো ছিড়ে নিয়ে রস করে খায় বলে তাদের জানিয়েছে। এব্যাপারে জানতে চাইলে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. ছিদ্দীকুর রহমান আৎকে উঠে বলেন, কি বলেন? আমি গাঁজার গাছ জীবনেও দেখি নাই। সোমবার সকালেই আমি নিজে গিয়ে দেখবো।