গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শুরু হচ্ছে অনলাইন আবেদন কারী মুক্তযোদ্ধা দাবিদারদের যাচাই বাছাই। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) কর্তৃক গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি, হলরুম লাল শাপলায় এ যাচাই বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে বিষেশ সূত্রে জানা গেছে। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারী যাচাই বাছাই এর দিন ধার্য করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন স্বাক্ষরীত এ সংক্রান্ত একটি গন বিজ্ঞপ্তি ইতি মধ্যেই প্রচার করা হয়েছে। উক্ত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পুরো উপজেলায় চলছে মাইকিং সহ ব্যাপক প্রচারণা। অত্র উপজেলায় হেমায়েত বাহিনীর ছয় শতাধিক অনলাইন আবেদনকারী যাচাই বাছাই এর আওতায় আসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
নিজের নামটি সহ স্বজনদের নাম তালিকায় আছে কি না তাহা খুজতে ব্যাস্ত রয়েছেন অনেকে। দীর্ঘ জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, এ যাচাই বাছাইকে ঘিরে আবেদনকারীদের মাঝে দেখা যাচ্ছে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। কারো কারো কপালে দেখা যাচ্ছে চিন্তার ভাজ। অফিসপাড়া সহ রাস্তা ঘাটে চায়ের দোকানে চলছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আড্ডা। আগ্রহীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠছে উপজেলা সদর সহ চার পাশ। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে গিয়েছিলাম, দেশ স্বাধীন হওয়ার পঞ্চাশ বছর পরেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের যাচাই বাছাই এর সম্মুখিন হতে হবে এমনটি আশা করিনি, বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকে। তদুপরি সরকারের এই মহান পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আবেদনকারীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক আবেদনকারী জানান- এই যাচাই বাছাই ঘিরে অপপ্রচার চালানোর মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পায়তারা চালাচ্ছে একটি অসাধু চক্র।
এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোদাচ্ছের হোসেন ঠাকুর, তৈয়াবুর রহমান সরদার, আব্দুল মান্নান, নিজাম হাওলাদার, প্রভাত চন্দ্র রায় সহ অনেকে বলেন- এবারের যাচাই চাছাই এ প্রায় ৭শ জন অনলাইন আবেদনকারী অংশগ্রহন করবে, তিনদিন ব্যাপী চলবে এ কার্যক্রম, হেমায়েত বাহিনীর শুধুমাত্র কোটালীপাড়া উপজেলার আবেদন কারীদের স্বচ্ছভাবে যাচাই বাছাই করা হবে।