পদ্মা নদীর রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা সীমান্তে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারের দায়ে ৬ জনের দন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। আভিযানিকদলের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাদ আহম্মেদ নদীতে আটক জেলেদের দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদ আহম্মেদের নেতৃত্বে, মৎস্য অফিস ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আওতায় পদ্মা নদীতে দুপুর ২টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে আটককৃত ৬জন জেলেকে দন্ড প্রদান করা হয়। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জনকে (৫-১০দিন) বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১ জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদের মধ্যে মধ্যে ৪ জনের বাড়ি পাংশা উপজেলার মধ্যে এবং ২ জনের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মধ্যে। এছাড়া অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক স্কুল ছাত্রকে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পাংশা উপজেলা মৎস্য অফিসার সাঈদ আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ বাস্তবায়নে গত ১৩ অক্টোবর থেকে দিনে-রাতে পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানের ১০ম দিনে মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য কওে পদ্মা নদীতে ইলিশ শিকারের দায়ে ৬ জন জেলেকে দন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদ আহম্মেদ।
অভিযানে উদ্ধারকৃত প্রায় ৬০ কেজি ইলিশ স্থানীয় এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। এছাড়া অভিযানে উদ্ধারকৃত প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের ৫০ হাজার মিটার নিষিদ্ধ জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাদ আহম্মেদ, পাংশা উপজেলা মৎস্য অফিসার সাঈদ আহমেদ, পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রুবেল শেখসহ সঙ্গীয় পুলিশ, উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী মো. রাশেদুজ্জামানসহ মৎস্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেয়।