ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা পালানোর ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদকে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিক বদলি) করা হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) রাতে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। তার আগে দুপুরে আটকের পর থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান নাসির উদ্দিন (৫১) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি আলফাডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।পরে অবশ্য নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।তবে পরিবারের দাবি, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তিনি থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাসির উদ্দিন একজন ব্যবসায়ী। আলফাডাঙ্গা পৌরসভার বাকাইল সড়কে তার টিনের দোকান রয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে তার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নাসির উদ্দিনের বড় ভাই স্থানীয় বাকাইল মাদরাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নবাব আলীকে ধরে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
নাসির উদ্দিনের ছোট ভাই তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি করেন এটা ঠিক। কিন্তু তিনি কোনো মামলার আসামি না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমার ভাইকে পুলিশ থানায় নেওয়ার পর তিনি ভয় পান এবং থানা থেকে পালিয়ে যান। পরে আমার আরেক ভাইকে আটক করে পুলিশ। পরে আমাদের সিদ্ধান্তে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এখন তিনি থানায় আছেন।’
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, মৌখিকভাবে স্ট্যান্ড রিলিজের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কাগজপত্র পাইনি।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, নাসির উদ্দিন পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সোমবার তাকে আটকের পর থানা থেকে কৌশলে পালিয়ে যান। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোপালগঞ্জ থেকে তাকে ধরে আনা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, আসামি ধরাকে কেন্দ্র করে আমাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কাউকে ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। আমাকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। সে অনুযায়ী মঙ্গলবার রাতেই আলফাডাঙ্গা ছেড়ে পুলিশ লাইনসে যোগদান করবো।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী-বোয়ালমারী-আলফাডাঙ্গা সার্কেল) ইমরুল হাসান বলেন, আমি স্টেশনের বাইরে আছি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত বলতে পারবো।