ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সুমি আক্তার জান্নাত (১৯) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সুমি আক্তার উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণকান্দা গঙ্গাধরদী গ্রামের শাকিল মাতুব্বরের স্ত্রী।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণকান্দা গঙ্গাধরদী গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে সুমি আক্তারের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক বছর আগে একই গ্রামের লোকমান মাতব্বরের ছেলে ইতালিপ্রবাসী শাকিল মাতুব্বরের সঙ্গে সুমির বিয়ে দিই। বিয়ের পর থেকে শাকিল বিদেশে যাওয়ার জন্য ১৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমি পেনশনের ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করে জামাই শাকিলের হাতে দিই। এরপর শাকিল চার মাস আগে ইতালি যায়। ইতালি যেতে তার মোট ১৮ লাখ টাকা খরচ হয়। বাকি আরও পাঁচ লাখ টাকা তাকে দিতে হবে। এ নিয়ে আমার মেয়েকে তারা প্রায়ই মারধর করেন।’
তিনি বলেন, ‘রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টার সময় শাকিলের মা, তার দুই ভাই রাশেদ ও হান্নান মানসিক নির্যাতন ও মারধর করে আমার বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সুমিকে। বাড়ি এসে স্বামী শাকিলের সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়া করে। তারপর রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।’
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদ্যুৎ সরকার বলেন, ‘সুমির বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সে অনুসারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’