ফরিদপুরে পাসপোর্ট অফিস থেকে তিন রোহিঙ্গাসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেলে ফরিদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক রোহিঙ্গা সদস্যরা হলেন আব্দুস সোবাহান (৭৫) ও তাঁর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৫), তাঁদের জামাতা মো. তৈয়ব (৩০)। তাঁরা কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার মারিগোলা গ্রামে বসবাস করেন।
এ ছাড়া দুই দালাল হলেন শহরের চাঁনমারি এলাকার সিয়াম আহমেদ (২৭) ও কমলাপুর বটতলা এলাকার রাশেদ খান (৩০)।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা সদস্য সোবাহান ও হাসিনার পাসপোর্ট করে দেওয়ার জন্য ওই দুই দালাল চুক্তিবদ্ধ হন। এর আগে তাঁদের খরচ বাবদ ১৫ হাজার টাকা দেন আব্দুস সোবাহান। আজ ফরিদপুরে এসে বাকি ১৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু দুই দালাল তাঁদের পাসপোর্ট করার প্রক্রিয়া শুরু না করে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন শুরু করেন।
রোহিঙ্গা সদস্যরা এর প্রতিবাদ জানালে দুই দালাল একপর্যায়ে জামাতা মো. তৈয়বকে মারধর শুরু করেন। পরে তৈয়ব দৌড়ে পাসপোর্ট অফিসে ঢুকে আনসার সদস্যদের সাহায্য চান। পরে সবাইকে আটকে রেখে কোতোয়ালি থানা–পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আহাদুজ্জামান বলেন, তাঁরা রোহিঙ্গা হলেও বহু আগে বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁরা পাসপোর্ট করতে এসে প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন। খবর পেয়ে দুই দালালসহ তাঁদের আটক করে নিয়ে আসা হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, স্থানীয় দুই দালাল, স্বামী-স্ত্রীসহ তিন রোহিঙ্গা সদস্যকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, ওই রোহিঙ্গারা যদি কোনো ক্যাম্পের সদস্য হন, তাহলে তাঁদের সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর কোনো ক্যাম্পের সদস্য না হলেও তাঁদের নিজ আবাসনস্থলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আর স্থানীয় দুই দালালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।