তিনি ভুমি অফিসে সায়রাত সহকারী কিন্তু পুরো অফিসে চলছে তার রাম রাজত্ব। এখানে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই প্রতিদিন কামিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। মিউটেশন , হাটবাজার, নিজরতসহ রেকর্ড রুমের পর্চাও টাকার বিনিময় দিয়ে দিচ্ছে।
আর সায়রাত সহকারীর সবচেয়ে বড় দুর্নীতির জায়গা হল জমির মিউটিশন করা। জমি ক্রয় করার পরে প্রত্যেক জমির মালিককেই বাধ্যতামূলক জমির রেকর্ড (মিউটিশন) করতে হয়। সরকারি ধার্য অনুযায়ী মিউটিশন ফি ১১৭৫ টাকা।
কিন্তু জমির মালিকদেরকে বিভিন্নভাবে এটা ওটা বুঝিয়ে বেশী টাকার চুক্তি করেন জমির মিউটিশনের জন্য। জমির মালিকেরা নিরুপায় হয়ে ফাঁদে পা দিয়ে হাজার হাজার টাকা গচ্ছা দেয়।
এসিলেন্ড না থাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে কৌশলে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। টাকা না দিলে তার কাজ ঔখানে পড়ে থাকে।
হাটবাজার নবায়নে ২৬০ স্থলে ৬ হাজার করে নিচ্ছে ও প্রতি পর্চা বাবদ ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন ভুমি অফিসে সায়েরাত সহকারী।
এমই অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ভূমি অফিসে সায়রাত সহকারী মান্না মোল্লার বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক দুই তিন জন মুকসুদপুর ভুমি অফিসের কর্মচারী ঘটনার সত্যতা শিকার করেছে।
মিউটেশন করতে আশা এমন এক ভুক্তভোগীর সন্ধানও মিলেছে। যার কেস নং ৯৬৪০ লাভলি আক্তার তিনি গত ১ জুন হাজিরা দিয়েছেন মান্নার কাছে হাজিরার টোকেন দিয়ে গেছেন কিন্তু টাকা দিতে পারেননি তার মোবাইল ফোনে কোন ম্যাছেজও পায়নি পরে তিনি ৮ জুলাই অফিসে খবর নিয়ে দেখে সেই ভাবেই ফাইল পড়ে আছে অফিসে। কি জন্য এটা হলো জানতে চাইলে নয়ছয় বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেয়।
অন্য অন্য ভুক্তভোগীরা জানান, মুকসুদপুর ভূমি অফিসের দুর্নীতি এমন চরমে পৌঁছেছে। সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অঙ্কের ঘুষ ছাড়া কোনো নামজারি হয় না। নামজারির জন্য ১০ হাজার থেকে মোটা অঙ্ক আদায় করা হয়। উপজেলা ভূমি অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন স্তরে ভাগ দেওয়ার কথা বলে।
অন্য এক ভুক্তভোগী বলেন, এখানে কম ঘুষে বেশি ঘোরাঘুরি, বেশি ঘুষে কাজ তাড়াতাড়ি।
এ বিষয়ে মান্না মোল্লা সরাসরি অস্বীকার করে কৌশলে এড়িয়ে জায়।