বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হয়েছে অনেকে । কেউ কেউ মিডিয়া ফ্রন্ট লাইনে চলে এসেছে। আবার কেউ কেউ তার কোনো নাম গন্ধ পায়নি। এরকম একজন নাইমুর রহমান। গত ১৯ জুলাই বাড্ডা এলাকায় নিহত হয় নাইমুর ।
গ্রামের বাড়ী মাদারিপুর তিনি ঢাকার গুলশান ডিগ্রী কলেজের ছাত্র। আন্দোলনে নিহত হলেও খোজ খবর রাখেনি কেউ। ছেলে হত্যার বিচারের দাবীতে দিনকাটাচ্ছে নাইমুরের পরিবার।
আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত হয় এরপর তার দেহ গ্যারেজে ফেলে রাখে ফলে বাঁচার আশংঙ্কা থাকলেও বিনা চিকিৎসায় গাড়ির গ্যারেজে মৃত্যুবরণ করে নাইমুর। সংবাদ পেয়ে বাদী দ্রুত ছুটে গিয়ে ৮/১০ জনের লাশের মধ্যে মোঃ নাইমুর রহমানকে বুকে গুলিবিদ্ধ রক্তস্নাত অবস্থায় খুজে পান তার আত্নীয় স্বজন।
নিহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের মরদেহ রিসিপশনে করতে গিয়ে হয় ভোগান্তি কারন মৃত্যুর বিষয়ে একটি ডেথ সার্টিফিকেট চাইলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে “নিষেধ আছে, দেওয়া যাবে না, আপনারা লাশ নিয়ে চলে যান” বলে একপর্যায় মরদেহ নিয়ে যেতে বাধ্য করেন। পুত্রের লাশ নিয়ে ঢাকার বাসায় এসে গোসল দিয়ে কাফনের কাপড় পরিয়ে মাদারীপুর গ্রামের বাড়ি নিয়ে দাফন সম্পন্ন করা হয়।