ফরিদপুরে মাটি কাটার অপরাধে মাটি কাটার সরঞ্জাম ভেকু জব্দ সহ দুই জনকে আটক করেছে কোতায়ালী থানা পুলিশ। ফরিদপুরের সদর থানা কৈজুরী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে আকইন চরপাড়া গ্রামের ফরহাদ শেখ পিং— কাদের শেখের আবাদযোগ্য জমি থেকে ও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কাচনাইল গ্রামের একটু দূরপান্তে আবাদযোগ্য জমি থেকে মাটি কাটা সহ মাটি বিক্রয় করা হয়। এমন খবর পেয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীম ও সদর থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সম্রাট হোসেন।
গত ২৮ এপ্রিল ও ৩১ এপ্রিল তারিখে অভিযান করে সরেজমিনে থেকে ২টি ভেকু জব্দ করা সহ কোতায়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। অবৈধভাবে বনাঞ্চল ও ফসলি জমির মাটি কাটার অপরাধে কৈজুরী ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফজলুল হক গতকাল (১ মে বুধবার) কোতায়ালী থানায় ও সদর থানার কৈজুরী ইউনিয়নের মুরারীদহ গ্রামের মোঃ রোকন মন্ডলের পুত্র মোঃ আবুল (৩৬)। সদর থানা গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা পূর্বপাড়া গ্রামের পিতা—মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র বিল্লাল(৩৪)। সদর থানা কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের ইয়াদ আলী ফকিরের পুত্র হাসমত ফকির(৩৫)। সদর থানা কৈজুরী ইউনিয়নের কাচনাইল গ্রামের পিতা মৃত সফিজদ্দিন মাত্তবরের পুত্র সাহাজদ্দীন মাত্তবর(৪৮) ও সদর থানার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামের আইয়ুব আলী মল্লিকের পুত্র বাবু মল্লিক সহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই তিনজনের নামে মামলা দায়ের করেন। এরই ধারাবাহিতকতায় হাসমত ফকির ও সাহাজদ্দীন মাত্তুবরকে গত রাতে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে সদর থানার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সম্রাট হোসেন বলেন, অবৈধ ভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি কাটা সহ মাটি বিক্রয় পুকুর খননের নামে ইটভাটায় মাটি বিক্রয়, নদী নালা খাল বিল থেকে বাল উত্তোলন, এই কাজের সাথে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আমরা সর্বদা সোচ্চার। ফরিদপুর সদর থানা সহ বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা কৈজুরী ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে। আমারা সাথে সাথে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাটি কাটার সরঞ্জন জব্দ, জরিমানা সহ নিয়মিত মামলা করে থাকি। কৃষি জমি থেকে জোর করে, ক্ষমতার জোরে টাকার জোরে ওই ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে মাটি কাটার কোন সুযোগ নেই। এই অপকর্মের সন্ধান পেলে সাথে সাথে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান।