গোপালগঞ্জে উদ্ধার হওয়া ৪৫টি কচ্ছপ ও প্রায় ১৫০টি পরিযায়ী পাখি অবমুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কচ্ছপগুলো খাল, বিল, পুকুর এবং পরিযায়ী পাখিগুলো বিলে ছেড়ে দেওয়া হয়। (১৫ নভেম্বর) বুধবার জেলা বন বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বন অধিদপ্তর ঢাকা ও গোপালগঞ্জের বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে পরিযায়ী পাখি ১২০টি ও ৪৫ কচ্ছপ উদ্ধার করে।

গোপালগঞ্জ বন বিভাগ সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি লখা বিলে পাখি শিকার করার সময় ও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের বর্নি দক্ষিণপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০টি পরিযায়ী পাখি উদ্ধার করা হয়।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোলবাড়ি গ্রামে কালীপূজার মেলায় প্রকাশ্যে কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে। এই খবর পেয়ে সন্ধ্যার পর ওই মেলায় অভিযান চালিয়ে ৪৮টি কচ্ছপ উদ্ধার করে বন বিভাগ। এর মধ্যে জীবিত অবস্থায় ৪৫টি উদ্ধার করা হয়। কচ্ছপগুলো বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ (হুমকির মুখে থাকা) অনুযায়ী সংরক্ষিত।
গোপালগঞ্জ বন বিভাগ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে ২০টি কচ্ছপ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোলবাড়ি খালে ও গোপালগঞ্জ বন বিভাগের পুকুরে এবং বাকি ২৫টি বুধবার সকালে কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়নের বিলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১২০টি পরিযায়ী পাখি মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে কোটালিপাড়া ও টুঙ্গিপাড়ার বিলে ছাড়া হয়েছে।
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ঢাকা কার্যালয়ের বন্য প্রাণী পরিদর্শক আবদুল্লাহ আস-সাদিক বলেন, উদ্ধারের আগেই বেশ কয়েকটি ধুম কচ্ছপ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। বাকি কচ্ছপগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত কচ্ছপ গত রাতে ও আজ সকালে অবমুক্ত করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের বন কর্মকর্তা বিবেক আনন্দ মল্লিক বলেন, ধুম প্রজাতির কচ্ছপগুলো এখানে পাওয়া যায় না। এগুলো সাধারণত নদীতে পাওয়া যায়। অবৈধভাবে কচ্ছপ শিকার করে এখানে এনে বিক্রি করা হচ্ছিল। তিনি আরও বলেন, একসময় বাংলাদেশের নদ-নদী, খাল-বিল ও পুকুরে কচ্ছপ এবং বিলে প্রচুর পাখি পাওয়া যেত।
নির্বিচার শিকার, আবাসস্থল ধ্বংসসহ নানা কারণে এখন প্রকৃতিতে সেভাবে পাখি ও কচ্ছপ দেখা যায় না। খাল-বিল, পুকুর, জলাশয় কমে যাওয়ায় দিন দিন কচ্ছপের আবাসস্থল কমে যাচ্ছে। প্রকৃতিতে প্রতিনিয়ত কচ্ছপের সংখ্যা কমছে। বন্য প্রাণী আইন অনুযায়ী পাখি ও কচ্ছপ ধরা, মারা, কেনাবেচা করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এদিকে মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম রাজি টুলু মুকসুদপুরে কদমপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০ পাখি উদ্ধার করে পাখি গুলো মুকসুদপুর বাওড়ে অবমুক্ত করে।

মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমাম রাজি টুলু বলেন, আমাদের অফিসিয়াল ফেজবুক পেজে একটা পোস্ট দিয়ে ছিলাম চায়না দুয়ারি জাল অতিথি পাখি কোথায় বিক্রি হয় অনেকে আমাকে মেসেঞ্জারে জানিয়েছে কদমপুর বাজারে পাখি বিক্র হয় সেই পেক্ষিতে আমরা অভিজার চালাই এবং প্রায় ৩০টি পাখি উদ্ধার করেছি এই পাখি গুলো আমাদের দেশিয় প্রজাতির পাখি আমাদের খালে বিলে থাকে কিছু অসাধু শিকারি আছে যাদের কারনে পাখিগুলা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।