ফরিদপুরে কুয়াশা ও তীব্র শীতে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। অন্যদিকে খড়কুটো জালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা চালাচ্ছেন ফরিদপুর জেলার বাসিন্দারা।শীতজনিত রোগেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে এসে দক্ষিণের জেলা ফরিদপুরে জেঁকে বসেছে এমন শীত। কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঘন কুয়াশা পড়ায় দুর্ভোগের শেষ নেই মানুষের।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই জেলাটিতে তীব্র শীত ও ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। গত ২ দিন ধরে অধিকাংশ সময়ই আকাশ থাকছে মেঘাচ্ছন্ন। একই সঙ্গে রোববার ভোর থেকে ঘন কুয়াশা ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মতো পড়ছে। মাঝে মধ্যে সূর্য উঁকি দিলেও অধিকাংশ সময়েই থাকছে মেঘের আড়ালে। ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জেলা শহরের মানুষ।ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় শীতে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষও নাকাল হয়ে পড়েছেন। কুয়াশার চাদর ভেদ করে সূর্যের আলোর উত্তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কমছে না শীতের তীব্রতা। শীতবস্ত্রের অভাবে শীতের তীব্রতা থেকে মুক্তি পেতে অনেককে খড়কুটো জ্বালাতে দেখা গেলেও জেলা প্রশাসন থেকে শীতার্তদের তেমন সহযোগিতা করতে দেখা যায়নি।
রবিবার একজন কামলা কাজ না পেয়ে কাবু হয়ে রাস্তা পাশেই শুয়ে থাকতে দেখা যায়। প্রচন্ড শীতেও পাতলা একটি কম্বল গায়ে মুড়িয়ে বস্তার বালিশ এবং ফুটপাত কে বিছানা বানিয়ে ঘুমিয়ে ছিল জনৈক যুবক। ফরিদপুর কামলা হাটে জোন বিক্রি হতে আসা একজন বলেন, অনেক ঠাণ্ডা। তার ওপর ঘন কুয়াশা বৃষ্টির মতো করে ঝিরিঝিরি পড়ছে। সন্ধ্যার পর ঠাণ্ডার দাপটে ঘর থেকে বেরোনো যাচ্ছে না। সকাল-সন্ধ্যা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে হচ্ছে। হতদরিদ্র লোকজনের অবস্থা চরম শোচনীয় হয়ে পড়েছে।
এদিকে কুয়াশার সঙ্গে হালকা বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের মধ্যে শীতজনিত রোগের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে।
গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে বৃদ্ধ ও শিশু রোগীদের হার বেড়েছে।