ফরিদপুরের নগরকান্দায় তালাকপ্রাপ্ত লিজা আক্তার নামে এক ইউপি সদস্যকে মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে প্রাক্তন স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। আহত লিজা উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের ১, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য এবং বরিশাল জেলার মজিবর রহমান শিকদারের মেয়ে। তিনি বর্তমানে নগরকান্দা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং নগরকান্দায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার আহত লিজা বেগমের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৬ বছর পূর্বে নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদি ইউনিয়নের দহিসারা গ্রামের মারুফ হোসেন মন্টুর সাথে বিয়ে হয় লিজা আক্তারের। বর্তমানে তাদের ঘরে দুইজন পুত্র সন্তান রয়েছে, যার একজনের বয়স ১০ বছর এবং ছোট ছেলের বয়স ৮ বছর। প্রায় দুই বছর আগে লিজার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একতরফাভাবে তালাক দেন স্বামী মারুফ হোসেন মন্টু। স্বামীর তালাক প্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে স্বামীর এলাকায় দহিসারা আত্তাপ মাস্টার এর বাড়িতে থেকে দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
গত মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় দহিসারা গ্রাম থেকে দামদরদী গ্রামে এক মৃত ব্যক্তির লাশ দেখতে যায় এবং পথেমধ্যে শ্বশুরবাড়ি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাঃ রুপনা বেগম (৩০) ও তার স্বামী মারুফ হোসেন মন্টু দেশীয় অস্ত্র রামদা ও কুড়ালের আছাড়ী দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম ও কাটা জখম করে লিজাকে।
এ বিষয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘অপরাধী যেই হউক তার বিচার হওয়া দরকার।’ তালাক দেওয়া প্রথম স্ত্রীকে মারপিট করার বিষয় মারুফ হোসেন মন্টু কাজীকে জানতে চাইলে তিনি কাজ আছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফরিদপুর চলে যায়।
নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন, ‘থানার ডিউটি অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দিয়ে গেছে জানতে পেরেছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’