ফরিদপুরে জোরপূর্বক অসহায়দের জমি দখলকারী, হাসমত আলী মাস্টার ও তার ভাতিজা ওয়াহেদ মল্লিক থেকে হারানো জমি উদ্ধারসহ ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূমিদস্যুদের হাতে জমি দখল হওয়া ভুক্তভোগী অসহায় এলাকাবাসী। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দিরাজতুল্লাহ মাতুব্বর ডাঙ্গী বাজারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে হাসমত আলী মাস্টার ও তার ভাতিজা ওয়াহেদ মল্লিক অবৈধভাবে দীর্ঘ দিন যাবত পেশি শক্তির মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করে, জীবন নাশের হুমকি দিয়ে, জোর পূর্বক আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে আমাদের জায়গা জমি দখল করে আছে।
এলাকার হাসমত আলী মাস্টার ও তার ভাতিজা ওয়াহেদ মল্লিক উক্ত পরিবারটি এলাকাবাসীকে প্রায় ১৬ বছর ধরে নির্যাতন করে আসছে। আমাদের দুঃখ দুর্দশা নির্যাতন নিরাশনের জন্য আমরা নির্যাতিত ভূমির মালিকরা আজ রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের জোর পূর্বক দখল হওয়া জমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ফেরত পেতে পারি ও জীবনের নিরাপত্তা পেতে পারি এই ব্যাপারে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছি। এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কোতয়ালী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলমের ক্ষমতায় ক্ষমতাবান হয়ে হাসমত মাস্টার ও ওয়াহেদ মল্লিক অন্যের জায়গা দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করে, দীর্ঘদিনের জনসাধারণের চালাচলের রাস্তা বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম করে আসছে হাসমত মাষ্টার ও ওয়াহেদ মল্লিক। এ জাতিও অপকর্ম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ফরিদপুর এর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসি।
স্থানীয়রা জানান,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাতবার পরিবারের সাথে হাসমত মাস্টার গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত এধরণের ছোটখাটো ঘটনা ঘটে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানান, হাসমত মাস্টার শামচুল আলমের (সাবেক চেয়ারম্যান) কোতোয়ালী উপজেলা নাম ভাঙ্গিয়ে আমাকে সব সময়ই ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। বর্তমানে হাসমত মাস্টারের পরিবারের জন্য এলকায় বসবাস করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। সামচুল আলমের কাছে এর একটি সুষ্ঠ সমাধান চেয়েও পাইনি। এব্যপারে এলাকার স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য বাবলু শেখসহ প্রায় শতাধিক এলাকাবাসি উক্ত হাসমত মাস্টারের অন্যায় অবিচারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। একাধিক বার শালিস বৈঠক করেছেন স্থানীয় গন্যমান্যসহ সাবেক চেয়ারম্যান তুহিন মন্ডল ও সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আলম(অম্বিকাপুর)ইউনিয়ন পরিষদ। এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসমত মাস্টারের সাথে কথা বলে জানান যায়, তিনি বলেন আমাদের বাড়ির যাতায়াতের সড়কটি জেলা পরিষদের প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে। আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে তিনি দাবি করেন।