1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ফরিদপুরে প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে আটক ১ সদরপুরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ও জাকের পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে টুস করে ফেলে দেওয়ার’ বক্তব্যে শেখ হাসিনার নামে মামলা মুকসুদপুরে দিনভর ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত দুই দিন ধরে বিদ্যুৎহীন মুকসুদপুর, দুর্ভোগে জনজীবন গোপালগঞ্জে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা নিহত, আহত ৫০ বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা জনগণের সেবা দেয়ার জন্যই সরকার আমাকে পাঠিয়েছে : জেলা প্রশাসক ফরিদপুর ফরিদপুরে সাড়ে তিন বছর পর হত্যা মামলা দায়ের, চেয়ারম্যানকে আসামী করার প্রতিবাদ রাজবাড়ীর নবনিযুক্ত ডিসি মনোয়ারা বেগমের নিয়োগ বাতিল

পিয়ন ও দেহরক্ষীকে টাকা না দিলে দেখা মিলত না শেখ সেলিমের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪০৯ Time View

গোপালগঞ্জ-২ (সদর-কাশিয়ানীর একাংশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সঙ্গে ঢাকার বনানীর বাড়িতে দেখা করতে গিয়ে তার বাসার পিয়ন ও দেহরক্ষীকে ৭০ হাজার টাকা ঘুস দিতে হয়েছিল। এমন অভিযোগ করেছেন জেলার স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতা। সেলিমের সঙ্গে নেতাকর্মীরা দেখা করতে গেলে বাসার ওই দেহরক্ষী ও পিয়নকে টাকা না দিলে দেখা করতে পারতো না কেউ। এমনকি টাকা না দিলে ঘাড় ধরে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিতেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা তাদের এমন কর্মকাণ্ডে নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের মধ্যে শেখ সেলিমের প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল বলে দাবি ওই ছাত্রলীগ নেতার।

ওই দুই কর্মচারী হলেন- শেখ সেলিমের সরকারি দেহরক্ষী পুলিশের কনস্টেবল জব্বার তালুকদার ও বাসার পিয়ন শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ। সম্প্রতি গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু খান তার ফেসবুক প্রোফাইলে এমন অভিযোগ তুলে একটি পোস্ট করেছেন। ছাত্রলীগের ওই নেতা তার ফেসবুক পোস্টে তাদের ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘শেখ সেলিম ভাইয়ের বাসার দুই কুলাঙ্গার, জারজ, চাকর শরীফ এবং জব্বার। সেলিম ভাইয়ের বাসায় যত সব বদনাম করেছে। ২০ সালে আমি গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। তখন সেলিম ভাইয়ের বাসায় ঢোকার জন্য শরীফ আর জব্বার আমার কাছ থেকে জোর করে খারাপ ব্যবহার করে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছিল। একদিন টাকা দিয়ে ঢুকলে পরের দিন আবার না দিলে ঢুকতে দিতো না।

হাত ধরে, ঘাড় ধরে বের করে দিতো। কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারতাম না। ওই কষ্টে আর কোনোদিনও সেলিম ভাইয়ের বাসায় যাইনি। আমি জব্বার এবং শরীফ বাস্টার্ডকে কখনো সামনে পেলে গাছে ঝুলিয়ে পেটাবো। গোপালগঞ্জে সেলিম ভাইয়ের রাজনীতি নষ্ট করেছে শরীফ, জব্বার এবং কয়েকজন গোপালগঞ্জের কুলাঙ্গাররা। এখন শেখ হাসিনার জন্য, সেলিম ভাইয়ের জন্য গোপালগঞ্জে তোর কোন আব্বারা মাঠে আছে। আমরা বঞ্চিতরাই মাঠে আছি, কে কি দিলো তা আমাদের প্রয়োজন নেই। শেখ হাসিনার প্রশ্নে কোনো আপোষ নয়, ছিলাম, আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ওই নেতা বলেন, আমি তখন ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। যার কারণে প্রায় সেলিম ভাইয়ের বাসায় যেতে হতো দেখা করতে। বাসায় ঢুকতে গেলে জব্বার এবং শরীফকে টাকা না দিলে বাসায় ঢুকতে দিত না।

ওরা দুইজন আমার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছে। তবে ওইবার সভাপতি না হতে পেরে যে খারাপ লেগেছে, তার চেয়ে বেশি খারাপ লেগেছে বাসায় ঢোকার সময় পিয়নদের ওই ব্যবহারে। যার কারণে আর কোনোদিন সেলিম ভাইয়ের বাসা বনানীর চেয়ারম্যান বাড়িতে যাইনি। শেখ সেলিমের বাসায় দীর্ঘদিন কাজ করা শামীম হাসান বলেন, সেলিম ভাইয়ের বাসায় প্রায় অর্ধশত স্টাফ আছে। এরমধ্যে ঝালকাঠির জব্বার তালুকদার হচ্ছে পুলিশের কনস্টেবল। ২০০৪ সালের পর থেকে সেলিম ভাইয়ের নিরাপত্তার দায়িত্ব আছেন। ময়মনসিংহের শরিফুল ইসলাম ওরফে শরীফ হচ্ছে সেলিম ভাইয়ের পিয়ন, গোপালগঞ্জের ইমরুল কায়েস হচ্ছে সেলিম ভাইয়ের সহকারী ব্যক্তিগত সচিব। এরা তিনজনই সেলিম ভাইয়ের বাসায় আসা নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা নিতো। এরা সবসময় সেলিম ভাইয়ের কাছে ভালো সাজতো। আবার আকাম এরাই বেশি করতো। ওদের কারণেই নেতাকর্মীদের মধ্যে সেলিম ভাইয়ের প্রতি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। আর বিগত কয়েক বছরে ওরা যা কামায়ছে তাদের সাত পুরুষ খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
Developed By : JM IT SOLUTION