ফরিদপুরে চাকরি পুনর্বহাল এর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ২০০৯ সালে বিডিআর বিদ্রোহে চাকরি হারানো বেশকিছু সাবেক বিডিআর সদস্য। আজ বৃহস্পতিবার (২২ শে আগষ্ট) সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পিলখানা সীমান্ত বাহিনীর সদর দপ্তরে বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ ৭৪ জন হত্যার পুনর্বিচারের দাবি এবং চাকরিচ্যুত জওয়ানদের চাকরি পুনর্বহাল এর দাবিতে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । এসময় বক্তব্য রাখেন নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ ফারুক, মো. হায়দার হোসেন, বিডিআর সদস্য শওকত শিকদারের পুত্র ফাহিম শিকদার প্রমুখ। পরে তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ ও জুলফিকার হোসেন জুয়েলের নেতৃত্বে বিএনপি’র বেশ কিছু নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশে মানববন্ধনে বিডিআর সদস্যরা বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বিডিআর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় ওই সময় আমাদের প্রায় ১৮ হাজার সদস্যকে কোন কারণ ছাড়াই অন্যায় ভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা এতদিন মুখ খুলতে পারিনি। আমাদের দাবির কথা কাউকে বলতে পারিনি, কিন্তু গত ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের ফলে হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে, তাই এখন আমরা আমাদের চাকরি ফেরত চাচ্ছি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এটা আমাদের প্রাণের দাবি। আমাদের অনেক সদস্য ওই ঘটনায় এখনো কারাগারে বন্দি আছেন তাদের মুক্তি দাবি করছি। মূলত আমাদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ দেয়া হয়েছে এবং চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
তারা বলেন, যারা বিডিআর বিদ্রোহের সাথে জড়িত ছিল তারা এখনো বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকেই চাকরি করছে। অথচ আমরা কোন অপরাধ না করেও দিনের পর দিন মানবতার জীবনযাপন করছি। তারা জানান, আমরা এই ঘটনার সুস্থ তদন্ত দাবি করছি। এবং এর কাছে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এর আগে ফরিদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি মিছিল শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।