ফরিদপুরে থানা পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত থানা পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মোর্শেদ আলম। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোর্শেদ আলমের নেতৃত্বে অন্যান্য কর্মকর্তারা কোতয়ালী থানা ঘুরে দেখেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পতন ঘিরে চলমান পরিস্থিতিতে জেলার সদরপুর, মধুখালী ও কোতয়ালী থানায় বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। এতে থানার প্রতিটি কক্ষ, পুলিশের গাড়ি, মামলার নথিপত্র আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়।
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশের সাথে নৃশংস আচরণ করা হয়েছে। পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে গেছে। সবার সহযোগিতায় আবার পুলিশের কার্যক্রম শুরু করার চেষ্টা করছি। জেলার তিনটি থানায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আসবাবপত্র, নথিপত্র পুড়ে গেছে। অস্ত্র লুট করা হয়েছে। তিনটি থানা বাদে বাকী ছয়টি থানা অক্ষত আছে। সেগুলোতে পুলিশের স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল ইসলাম পিকুল, ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেস আলী ইচ্ছা, মহানগর বিএনপির সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরিজ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হৃদয়সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।