স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের অধীনে এলজিইডির বাস্তবায়নে উপজেলার লস্কারদিয়া বাজার আর এন্ড এইচ হাট কৃষ্ণপুর জিসি ভায়া শংকর পাশা রাস্তায় ১২০০ মিটার চেইনেজে ৩৬,০০ মিটার স্লাব ব্রীজ নিমার্ণ কাজে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্রীজের প্রাক্ককলিত মুল্য ধরা হয়েছে ৩,৭৬,৩৩,১৬৭/০০ টাকা। ব্রীজের চুক্তি মুল্য ধরা হয়েছে ৪,১২,৯৩,৭২৩/৯৬ টাকা। মেসার্স জাহানারা এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ব্রীজ নিমার্ণ কাজ শুরু করেন ৮ জানুয়ারী ২০২৩ এবং ২৯ জুন ২০২৩ তারিখে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও আজ-অব্দি ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছে। পুরাতন সরু ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন করে ব্যয়বহুল ব্রীজ নির্মিত হচ্ছে। ব্রীজ নির্মাণ কাজের শুরুতেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পূর্বের পুরাতন ব্রীজের রড দিয়ে নতুন ব্রীজের নির্মাণ কাজের ব্যবহার করা এলাকা বাসি ক্ষোপ প্রকাশ করে এবং তারা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নতুন করে ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু করলেও যানচলাচলের জন্য বাইপাস সড়ক না করায় যানচলাচল বন্ধ থাকে এবং জনসাধারণের চলাচল ব্যহত হয়। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হলে তড়িঘড়ি করে দায়সারা ভাবে মাটির বাইপাস সড়ক করে দিয়ে জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করে দিলেও যানচলাচল বন্ধ থাকায় ঐ এলাকার মানুষের ভোগান্তি থেকেই যায়। ব্রীজ নির্মান কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গড়িমসি ও নিম্নমানের সামগ্রী পুরাতন রড দিয়ে কাজ করলেও কাজের স্থানে দেখা মিলছে না সংশ্লিষ্ঠ তদারককারী কর্মকর্তার। আলোচনা রয়েছে নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন ম্যানেজ কারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি এই অনিয়মে জরিয়ে পড়ে। ব্রীজ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পরর্যায়ের দিকে তবু কি কারনে নতুন করে ইটের বাইপাস সড়ক নির্মান কাজ চলমান থাকায় আবারো ভোগান্তির কারণ হয়ে পড়েছে। স্থানীয় লোকজন জানান যখন বাইপাস সড়ক দরকার ছিল তখন নির্মাণ করেনি এখন এই সড়কের কোন প্রয়োজন তেমন নেই এখন তারা বাইপাস সড়ক করতেছে। এবিষয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী আব্দুল্লাহকে কাজের স্থানে না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা যায়নি তবে নগরকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন ও কাজ তদারকি কারক মোহাম্মদ মাফুজুর রহমান এবিষয়ে কোন মুখ খুলতে রাজি নন।