আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে গোপালগঞ্জ—১ (মুকসুদপুর—কাশিয়ানী) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী পঞ্চম বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার মুহাম্মদ ফারুক খান। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সহকারি রিটার্নিং কর্মকতার্ ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলুর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক খান বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
তার প্রমাণ আমার আসনে বর্তমান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা এবং স্বতন্ত্রপ্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর গত ১৫ বছরের উন্নয়ন, সুশাসন ও সেবার ওপর আস্থা রেখে এই নির্বাচনেও জনগণ নৌকাকে বিপুল পরিমাণ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসবেন। তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি নিবার্চন মানেই প্রতিদ্বন্দীতা, সুতরাং যারা যারা স্বতন্ত্র অথবা বিভিন্ন দল থেকে নিবাচন করার জন্য ফরম কিনেছেন এবং জমা করবেন আমি তাদেরকে স্বাগত জানাই। আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্র্যাকটিস করি। গণতন্ত্র মানেই প্রতিদ্বন্দীতা আর প্রতিদ্বন্দীতা মানেই জনগনকে পছন্দ করতে দেয়া আপনারা কাকে চান।
সুতরাং আমি তাদেরকে স্বাগত জানাই এবং আমরা সকলে মিলেমিশে যে শান্তিপূর্ণ ভাবে সুষ্ঠ এবং অংশগ্রহনমূলক নিবার্চন হবে। আমি শতভাগ আশাবাদী। আমি এর আগে পাঁচবার নিবার্চন করেছি প্রতিটা নিবার্চন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বিএনপি যখন নিবার্চন করেছে তখনও শান্তিপূর্ণ নিবার্চন হয়েছে। আমি নেতা হিসাবে শান্তি চাই, আমাদের এখানের জনগন ও শান্তি চায়। সুতারং শান্তিপূর্ণ নিবার্চন হবে। বিএনপি নিবার্চনে না আশায় আমি খুবই দুঃখিত। বিএনপি নিজেদেরকে বলে তারা একটা গণতান্ত্রিক দায়িত্বশীল একটা রাজনৈতিক দল তারা নিবার্চনে আসবেনা তার মানে তারা প্রমান করেযে মুখে তারাই যাই বলুক আসলে তারা গণতন্ত্র আর উন্নয়নে বিশ্বাস করেনা। আমি এখোনো আশাকরি যে বিএনপি নিবার্চনে আশার জন্য নিবার্চন কমিশনে যাবে। নিবার্চন কমিশন বলেছে যে তারা যদি নিবার্চনে আসতে চায় তাহলে তারা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে। বিএনপি যদি নিবার্চনে নাও আসে তারা যে বলেছে নিবার্চন করবও না নিবার্চন হতেও দিবনা। এটা পুরোটাই অগণতান্ত্রিক এবং কথাটা কিছুটা সন্ত্রাসী টাইপের মনে হয় তারা গণতন্ত্র বিশ্বাসই করেন।
আমি আশাকরি এবার তারা যদি নিবার্চনে না ও আসে তাহলে তারা বুজবে যে তারা ভুল করেছে। পরবর্তীতে তারা নিবার্চনে আসবে। এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন তার কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ—কমিটির সদস্য কানতারা খান, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল আলম শিকদার, সিরাজুল ইসলাম মিয়া, হুজ্জাত হোসেন লিটু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সাহিদুর রহমান টুটুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহম্মেদ মুক্তু মুন্সী, সাব্বির খান প্রমুখ। প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা বাছাই করবেন ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।