ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্কারদিয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার(কাজি মৌলভী) মনিরুল ইসলাম হেমায়েত পিতা- মৃত খলিলুর রহমান গ্রাম জুঙ্গুরদী থানা- নগরকান্দা জেলাঃ- ফরিদপুর ভূয়া স্টাম্প তৈরি করে মামলার বাদী মাওলানা আবুল হাসান পিতা- মৃত শামচুল হক তারা মাতুব্বর গ্রাম -জুঙ্গুরদী থানা- নগরকান্দা জেলা ঃ ফরিদপুর কে আসামী করে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আমলী আদালত ফরিদপুর একটি মামলা করেন।মামলা নং নগরকান্দা সি আর ১১৫/২৩ তারিখ ১৬/৫/২৩ ইং মোকদ্দমা দঃবিঃ ৪০৬/৪২০ ধারা। এই মামলার আসামী মাওলানা আবুল হাসান এর নিকট থেকে প্রতিবেশী কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর নগদ টাকা প্রয়োজন হওয়ায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লস্কারদিয়া বাজার শাখার ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার একটি চেক প্রদান করে যাহার সঞ্চয়ী হিসাব নং ৩৫৬৪ তারিখ ২০-০৬-২০২১। নগদ টাকা নিয়ে যায় বলে মাওলানা আবুল হাসান বলেন।
সময়মতো টাকা না দেওয়ায় কৃষি ব্যাংকে টাকা উত্তলন করতে গিয়ে জানতে পারে কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর একাউন্টে টাকা নেই। চেক ডিজাইনার করে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর নামে চেক জালিয়াতি প্রতারনা মামলা করেন। মোকদ্দমা ঃ যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ মামলা নং ১০৬/২০২২।
তারিখ ১৬-০৬-২০২২। মামলা চলমান রয়েছে।মাওলানা আবুল হাসান এর মামলা চলমান থাকা কালিন সময় অতি পূর্বের তারিখ উল্লেখ করে ভূয়া একটি স্টাম্প তৈরি করে মাওলানা আবুল হাসান এর নামে ৬ লাখ টাকা পাবে দাবি করে আদালতে মামলা করেন।মামলা নগরকান্দা সি আর ১১৫/২৩ তারিখ ১৬-০৫-২৩।০২/০৪/২০১৫ ইং তারিখ টাকা নেওয়ার কথা উল্লেখ করে ০৫/০৫/২০২৩ তারিখ অশ্বীকারের তারিখ উল্লেখ করে মোকদ্দমাঃ দঃ বিঃ ৪০৬/৪২০ ধারা আদালতে মামলা করেন।স্ট্যাম্প গত ০১/০১/২০১৮ তারিখ হারানো দেখিয়ে ২১/০৩/২০২৩ তারিখে নগরকান্দা থানায় একটি জিডি করেন জিডি নং ৯৩৯।
কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর বানানো স্ট্যাম্প রেজি নং ১২১ তারিখ ০২/০৪/২০১৫। মাওলানা আবুল হাসান বলেন, আমাকে কৃষি ব্যাংক লস্কারদিয়া বাজার শাখার একটা চেক দিয়ে নগদ টাকা নেয় কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত, সময়মতো টাকা ফেরত না দিলে চেক ডিজাইনার করে তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করি মামলা চলমান রয়েছে,অপরদিকে ভূয়া স্ট্যাম্প বানিয়ে তার নিকট থেকে টাকা নিয়েছি বলে স্ট্যাম্পে উল্লেখ করে আদালতে মামলা করে ১৬/০৫/২০২৩ তারিখে।মামলার ৩ নং স্বাক্ষী মীর মাসুদ বলেন এই স্ট্যাম্পের মামলায় আমাকে স্বাক্ষী করা হয়েছে তা আমি এর কিছুই জানিনা,একদিন কাজী মৌলভী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত আমার দোকানে এসে বলে যে আমার মামলায় আপনাকে স্বাক্ষী করা হয়েছে আপনাকে স্বাক্ষী দিতে হবে তখন আমি তাকে বল্লাম কিসের স্বাক্ষী দিব এর কিছুই আমি জানিনা, এছাড়া আপনার কাছে মাওলানা আবুল হাসান দুই লাখ টাকা পায় আমি সেইটা জানি ও তার সেজ ভাই গ্রীল মাসুদের কাছে আপনি বাড়ি বিক্রি করছেন তাও জানি,আমি মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে পারবনা বলে কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত কে বলে দিয়েছি
বলে জানান। কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এলাকার অনেক লোকজনদের নিকট থেকে স্ট্যাম্প,বø্যাংক চেক দিয়ে টাকা নিয়ে টাকা ফেরত না দেওয়ায় হাজী আব্দুস সোবহান মোল্লা পিতা মৃত হাজী দানেশ মোল্লা গ্রাম জুঙ্গুরদী থানা নগরকান্দা সহ অনেকে মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর নামে মামলা করেন এবং সেই মামলা গুলো চলমান রয়েছে। এলাকার অনেকে তার কাছে টাকা পায় বলে এলাকায় সালিশ দরবার প্রতিনিয়ত হয় বলে স্থানীয় লোকজন জানান।
এবিষয় কাজী মনিরুল ইসলাম হেমায়েত এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে সরে পড়েন।