গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা কৃষি অধিপ্তরের পরামর্শে ও ভালো বীজ সরবরাহকরায় এ বছর আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের সোনালী আমন ধান দোল খাচ্ছে দিগন্ত মাঠ জুড়ে। আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষকরা। ধান কাটা ও মাড়াইয়ে কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক ও শ্রমিকরা। দাম ও ফলন এ দুটিই ভালো পাওয়ায়
কৃষকেরা মহা খুশী। এ বছর আমনের বাম্পার ফলনে লক্ষ মাত্রাও পূরণ হবে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় বিগত বছরের চেয়ে আমন ধানের ফলন দ্বিগুন হয়েছে। এ বছর উপজেলায় হাইব্রিড জাতের এজেড-৭০০৬, ধানিগোল্ড, ব্রি হাইবিড-৬, সিনজেনটা উইন, স্বর্ণা-৫, গুটিস্বর্ণা, পরশমনি, মাধবী, ঊনত্রিশ, ঊনচলিশ, ঊন-পঞ্চাশ ও বিনা-৮৭ জাতের ধান চাষ করেছে কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকলে থাকায় প্রচুর ধানজন্মেছে মাঠে। রোদের আলোয় ঝলমল করছে মাঠ জোড়ে কৃষকের সোনালী আমন ধান। বেশীর ভাগ ধান পাকতে শুরু করেছে। মাঠে সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধে চাষীর কন্ঠে শোনা যায় আনন্দের গান, কৃষাণীর মুখে হাসির ঝিলিক।
এ অঞ্চলের কৃষক ব্রিধান ৭৫ চাষ বেশী করেছে। এ জাতের ধান উচ্চ ফলনশীল, গাছ লম্বা হয় অনেক বেশী, বন্যার পানিতে ডুবে গেলেও তেমন ক্ষতি হয় না। সার, পানি, কীট নাশক ঔষধ কম লাগে বলে কৃষকেরা এ ধান চাষে বেশী ঝুকেছে কৃষকেরা।
কৃষকরা বলেন-উপজেলা কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শে তারা উন্নত জাতের হাইব্রিড আমন ধান চাষ করে তরা। বিগত ১০ বছরের মধ্যে এমন আমনের বাম্পার ফলন হয়নি। আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি বলে জানান তারা। উন্নত জাতের আমন চাষে ভালো ফলন হয়েছে। তবে সরকার কৃষকের কাছ থেকে বেশি দামে ক্রয় করলে তারা আরো বেশি লাভোবান হবেন বলেও জানান। বাড়ীতে বাড়ীতে ধান ক্রয় করতে আসা ধান ব্যবসায়ী বলেন, ধানের বাজার এখনো ভালো রয়েছে। তবে আরো একটু দাম বাড়ালে কৃষক বেশি লাভোবান হবে।
কৃষাণী-আমন ধানের বাম্পার ফলনে তারাও এবার খুশি। ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ শেষ হলেই পিঠাপুলি বানিয়ে আত্মীয় স্বজন নিয়ে নবান্ন উৎসব করবে তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: বাহাউদ্দিন সেক বলেন, আমন চাষের আগে কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক, মাঠ দিবসে কৃষককে বিভিন্ন পরিকল্পনার পরামর্শ দেওয়া হয়। সে অনুযারী তারা আমন চাষ করে। এবার আমনের বাম্পার ফলনে উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা পুরণ হবে বলেধারনা করছি। উপজেলায় ৮১৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ১৫৫৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়েছে। যার উৎপাদনের লক্ষ মাত্র ধরা হয়েছে ২৩০০১ মেঃ টন।