বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এবং সাবেক বনও পরিবেশ মন্ত্রী এবং জাতীয় সংসদ উপনেতা প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর। যার উন্নয়নে ফরিদপুর ২ আসন নগরকান্দা ও সালথা ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সকল ক্ষেত্রে যার উন্নয়নে স্মৃতি লেখা রয়েছে প্রতিটি উন্নয়নে নাম ফলকে।
মরহুমার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রসুলপুর গ্রামে তাঁর নিজ বাসভবন “হামিদ মঞ্জিল” দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহনের জন্য ইতি মধ্যে দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনদের আন্তরিকভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন সাজেদা চৌধুরীর কনিষ্ট পুত্র ফরিদপুর- ২ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী। গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যকালে তিনি ৩ ছেলে ১ মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। উল্লেখ্য, ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বিপর্যয়ের মুখে পড়ে আওয়ামী লীগ। সেই সংকটময় মুহূর্তে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত রাখতে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা চৌধুরী। ১৯৭৬ সালে সাজেদা চৌধুরী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯২ থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন মৃত্য আগ পর্যন্ত। এর আগে ১৯৬৯ থেকে ৭৫ পর্যন্ত সাজেদা চৌধুরী মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সাজেদা চৌধুরী একাধিবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং সফল ভাবে সরকারে বনও পরিবেশ মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর সাজেদা চৌধুরীকে প্রথমবার জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা করা হয়। এরপর দশম সংসদেও তিনি সংসদ উপনেতার দায়িত্ব পান। একাদশ জাতীয় সংসদে তিনি ফরিদপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন (ফরিদপুর-২ নগরকান্দা-সালথা) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়ী হন। দশম সাধারণ নির্বাচনেও তিনি এ অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হন।