টিকা উৎপাদনে গোপালগঞ্জে যে প্ল্যান্ট বাংলাদেশ সরকার স্থাপন করতে যাচ্ছে, সেখানে অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক। সচিবালয়ে বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধিরা এই অর্থায়নের কথা জানান।
বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বাংলাদেশে এ সংস্থার কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এ প্রকল্পে কীভাবে বিশ্ব ব্যাংক অর্থায়ন করবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
“আমরা যে টিকা তৈরি করতে চাচ্ছি, এই উদ্যোগকে উনারা (বিশ্ব ব্যাংক) স্বাগত জানিয়েছেন, আমাদেরকে এ বিষয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। ইতোমধ্যে আমরা অর্থায়নের কমিটমেন্ট পেয়েছি।” তবে ভ্যাকসিন প্ল্যান্টে বিশ্ব ব্যাংক কীভাবে অর্থায়ন করবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এক প্রশ্নে জাহিদ মালেক বলেন, “ভ্যাকসিন প্ল্যান্টের জন্য এডিবি থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রæতি পেয়েছি। আরও লাগলে আরও চাইব। সরকারও এ বিষয়ে অর্থায়ন করবে। জমি কিনেছি, বাকি কাজ চলমান আছে। ডিডিপি তৈরি করেছি, এটি পাস করতে একনেকে নিয়ে যাব।”
গোপালগঞ্জে ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট স্থাপনে প্রায় নয় একর জায়গা অধিগ্রহণ করেছে সরকার। সেখানে করোনাভাইরাসসহ প্রায় ১৩ রকমের টিকা তৈরির কথা রয়েছে।
দেশে টিকা উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি ডায়াডিক ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকও সই করেছে বাংলাদেশের এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “কোভিড মোকাবেলায় বাংলাদেশ খুব ভালো করেছে বলে বিশ্ব ব্যাংকের কর্মককর্তারা বলেছেন। আমরা যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছি তারা তারও প্রশংসা করেছেন।
“উনারা বলেছেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করতে হবে, যাতে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমে। পুষ্টির বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন।
আরবার প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের বিষয়ে জোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। কমিউনিটি ক্লিনিক গ্রাম-গঞ্জে সেবা দিয়ে থাকে, কিন্তু শহরে সেই সেবাটা নেই। এটা আমরাও তুলে ধরেছি, এখানে আমরা উন্নয়ন করতে চাই যাতে শহরবাসীও প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে।”
পৌরসভা, সিটি করপোরেশন শহরে প্রাথমিক সেবা দিয়ে থাকে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানেও বিশ্ব ব্যাংক আগামীতে আরও উন্নত সেবার ব্যবস্থা করবে বলে প্রতিশ্রæতি দিয়েছে।