“আমরাই পারি আমাদের ভবিষ্যৎকে পরিবর্তন করতে” এই প্রতিপাদ্য বুকে লালন করে ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ ২০১৩ সাল হতে দেশের প্রায় ২৫০ টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান; বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুল এর তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ ২০১৩ সাল হতে স্বাস্থ্য, তরুণ নেতৃত্ব সৃষ্টি, পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম গুলো হলো; থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ক্যাম্পেইন, নো-হেপ হেপাটাইটিস এওয়ার্নেস ক্যাম্পেইন, সেইফ ড্রাগ,সেইভ লাইফ প্রোগ্রাম, এনলাইটিং ইয়ুথ, অনলাইন লাইব্রেরী, ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা, নিরাপদ খাদ্য অধিকার আন্দোলন ইত্যাদি। সূচনা লগ্ন থেকেই সামাজিক পরিবর্তনে এই ক্লাবের তরুণ সদস্যগণ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের এই সুদীর্ঘ পথ চলার অংশিদার দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহস্রাধিক তরুণ-তরুণী। যাদের মধ্যে ৫০০ এর অধিক সদস্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
১২ই আগস্ট ২০২৩ সালে ইয়ুথ ক্লাব বাংলাদেশ ১০ বছর পূর্ণ করেছে। এই দশম বর্ষ পূর্তিতে তরুণদের স্বেচ্ছাসেবায় আরো উদবুদ্ধ করে আজ ১৮ই আগস্ট ২০২৩, ঢাকাস্থ বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি মিলনায়তনে “তারুণ্যের ক্ষমতায়ন” শীর্ষক একটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ঢাকার ১৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. এ কে এম একরামুল হোসাইন স্বপন, নির্বাহি পরিচালক, বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি হাসপাতাল। মুজাহিদ আল বিরুনী সুজন, পরিচালক, স্মার্ট টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেড ; শহীদুল ইসলাম রাজন, হেড অব এইচ.আর, গ্রুপ কিউএ। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ- ঢাকা বিভাগের কো অর্ডিনেটর সাদিয়া আহসান।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন; সচেতন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলতে সহ শিক্ষা কার্যক্রমের বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার কারিগর আজকের এই তরুণ প্রজন্ম। তাদের শিখতে হবে আত্ম উন্নয়নের মাধম্যে কিভাবে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এজন্যে তরুণদের মধ্যে এসব বিষয়ে আগ্রহ তৈরির পাশাপাশি অভিভাবকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। মাদকের তীব্র ছোবল ও জঙ্গীবাদ থেকে দূরে রাখতে সহ শিক্ষা কার্যক্রমের বিকল্প নেই”। অনুষ্ঠানে বক্তরা আত্ম উন্নয়নে ও সামাজিক পরিবর্তে মূখ্য ভূমিকা পালন করতে তরুণদের উৎসাহ দেন ও সার্বিক দিক নির্দেশনা দেন।