ফরিদপুর সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবয়ান কর্মকর্তা প্রণব পাণ্ডে চাকরি জীবনের মাত্র ১২ বছরে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, এক কোটি টাকা ব্যয়ে তিনি নির্মাণ করেছেন একটি বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি, যেখানে সাধারণ মানুষের পায়ে হেঁটে যাওয়া সম্ভব না হলেও টাকার জোরে সেখানে পৌঁছে গেছে ডুপ্লেক্স বাড়ির সামগ্রী ইট, বালি ও সিমেন্ট।
প্রণব পাণ্ডে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের ভরমপাল্টা গ্রামের বাসিন্দা, মোহন বাঁশি পাণ্ডের ছেলে। অতীতে তিনি বোয়ালমারী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলায় দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম সাথে জড়িয়ে পড়েন। পরে নাম-বেনামে গড়ে তুলেছেন বিপুল সম্পত্তি বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, বাড়ির চার পাশে রাস্তা না থাকায় বর্ষাকালে তাঁর বাড়ি সরাসরি পৌঁছানো যায় না। দূর থেকে তাঁর পিতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মোবাইল নাম্বার রেখে যান, পরে কথা হবে।”
নাম প্রকাশ না করার শতে কয়েক জন বলেন, প্রনব পান্ডে একটা সরকারি চাকরি করে কিভাবে এতটাকা কামাই করে আমাদের বোদগাম্য হয় না। প্রনব পান্ডের বাবার বেশী সম্পদ ছিলো না বাড়ি টিনের ঘর ছিলো হঠাত করে ছেলের চাকরি হওয়ার পরই টাকার কোন অভাব নেই।
সচেতন মহল মনে করছে এই সকল অসত
কর্মকর্তাদের আইনের আওতায় না আনলে জুলাই আন্দোলনের কোন মানেই থাকবে না।
এ ব্যপারে প্রনব পান্ডে বলেন,
আমার উয়াইপ শিক্ষক আমি চাকরি করি আমার বাবার আগে থেকেই অনেক সম্পদ ছিলো সেই টাকা দিয়ে বাড়ি তৈরি করেছি। আমার চাকরি জীবনে কোন অনিয়ম করিনি।
আমাকে ফাসানোর জন্য কিছু কুচক্র মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।
দুর্নীতি দমন আইনের আলোকে সরকারি চাকরিজীবী কর্তৃক অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জন অপরাধ হিসেবে গণ্য। বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৬১, ১৬৫, ১৬৫ (ক) ধারায় ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি হিসেবে জেল, অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
স্থানীয়দের দাবি স্থানীয় সাধারণ মানুষ বিষয়টির সঠিক তদন্ত ও অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।