বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফরিদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ৩৬ শে জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশ ও গণ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে ফরিদপুর পুরাতন বাস স্ট্যান্ডের মডেল মসজিদের সামনে সমাবেশ এবং পরবর্তীতে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়। জামায়তের জেলা আমির মাওলানা বদরুদ্দীন এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, ফরিদপুর অঞ্চল টিম প্রধান শামসুল ইসলাম আলবরাটি, কেন্দ্রীয় মজলিসের সূরা সদস্য এবং ফরিদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব, ফরিদপুর জেলার নায়েবে আমির ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, নায়েবে আমির আবু হারিস মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল ওহাব, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের আমির মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন , শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি সভাপতি এম এ আবুল বাশার, ফরিদপুর পৌরসভা শাখার আমীর এহসানুল মাহবুব রুবেল, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সহজ শাখার সভাপতি আকমল হোসেন , সদর উপজেলার নায়েবে আমির ফরিদুল হুদা , ফরিদপুর পৌরসভার সহকারী সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর হোসেন, ইসলামী ছাত্রশিবির জেলা শাখা সভাপতি হাফেজ ওবায়দুল্লাহ, ফরিদপুর পৌরসভার সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রেজাউল হোসেন শামীম , সভায় বক্তারা বিগত শেখ হাসিনা সরকারের ১৬ বছরের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করে বলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর দমন, পীরন ,নির্যাতন করেছে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে হয়রানি করেছে। মানুষের জীবনকে অস্থিতিশীল গড়ে তুলেছিল। গত বছরের ৫ ই আগস্ট ছাত্র জনতার অভুত্থানের মাধ্যমে তার পতন হয়েছিল এবং দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। বক্তারা বলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা চলে গেছে কিন্তু তাদের দোসরেরা এখনো দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে যে উদ্দেশ্য নিয়ে ৩৬ জুলাই সৃষ্টি হয়েছিল তা ছিল বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য । দেশকে মুক্তি দেওয়ার জন্য এবং চাঁদাবাজন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য।বক্তারা বলেন যারা ফ্যাসিস্ট কে যারা প্রতিষ্ঠা দেবার জন্য চেষ্টা করছেন যারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন আমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াই করতে হবে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে এমন লড়াই করবে যাতে কোন বিদেশি হায়েনা তাদের পক্ষে কথা বলতে না পারেন। দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারে। আর তাই এ ব্যাপারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরপর একটি শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। জামায়তে ইসলামী বাংলাদেশ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উক্ত শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।