আজ ৯ আগস্ট মুকসুদপুর শত্রুমুক্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সালের এই দিনে প্রায় ৫শ’ পাক হানাদারকে পরাস্ত করে মুকসুদপুরকে শত্রুমুক্ত করেছিল যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আহমেদ মল্লিক গ্রুপ । এদিন সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরই প্রথম শত্রুমুক্ত হয়।
এ অঞ্চলে পাকবাহিনী ও তাদের দোসরা ছিল খুবই শক্ত অবস্থানে। পাক হানাদার বাহিনীকে এদেশ থেকে বিতাড়িত করতে তৎকালীন সময়ে এদেশে কয়েকটি অঞ্চলে গঠিত হয়েছিল কয়েকটি বাহিনী। তারমধ্যে অন্যতম জাফর বাহিনী ।
৭১ যুদ্ধকালীন কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আহমেদ মল্লিকসহ গ্রুপ কমান্ডার আশ্রাফুজ্জামান কহিনুর, আবদুল ওয়াজেদ মোল্যা ও গ্রুপ কমান্ডার আলতাফ হোসেন খানসহ ৭২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ১৯৭১ সালে ৯ আগস্ট মুকসুদপুর থানা শত্রুমুক্ত করেছিলেন। সেই স্মৃতি ধারণ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানোর লক্ষ্যে মুকসুদপুর উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনের নিেম্ম অথবা কলেজমোড় সড়ক ব-দ্বীপে ত্রী-মোহনায় উল্লেখিত বাহাত্তর জন মুক্তিযোদ্ধার নাম খচিত ‘নাম স্মৃতিফলক’ বিজয় স্তম্ভ স্থাপন করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মুকসুদপুর থানা অপারেশনে অংশগ্রহণকারী বীরযোদ্ধা ও সহ যোদ্ধাদের নাম: জাফর আহমেদ মল্লিক ইপিআর, আশ্রাফুজ্জামান কহিনুর ইপিআর, আবদুল ওয়াজেদ মোল্যা সেনা বাহিনী , আলতাফ হোসেন খান সেনা বাহিনী, আবুল হাসেম মিয়া সেনা বাহিনী, আবদুল মজিদ তালুকদার ইপিআর, জলিল শেখ ইপিআর, মুন্সী সিরাজুল হক পুলিশ, আলী খান সেনা বাহিনী , মোকিম চৌধুরী পুলিশ, আবুল হোসেন পুলিশ, শাজাহান শেখ সেনা বাহিনী, হানিফ মিয়া নৌবাহিনী, মশিউর রহমান খোকা নৌবাহিনী, সিরাজুল ইসলাম লস্কর সেনা বাহিনী, নান্নু মোল্যা মুক্তি বাহিনী, সৈয়দ লিয়াকত হোসেন ইপিআর, জহিরুল হক ইপিআর, বাদশা মল্লিক বাশু সেনা বাহিনী, মজিবুর রহমান মোল্যা পুলিশ, হাবিবুর রহমান বাদশা পুলিশ, লুৎফর রহমান মনা পুলিশ, জলিল শেখ পুলিশ, গঞ্জর আলী মিনা পুলিশ, জাকির হোসেন সেনা বাহিনী, হারুন ভুইয়া ইপিআর, রজব আলী সেনা বাহিনী, জাহাঙ্গীর হোসেন, সেনা বাহিনী, আবু বক্কর সেনা বাহিনী, কুদ্দুস সেনা বাহিনী, আইয়ুব হোসেন সেনা বাহিনী, এমএ মল্লিক মুক্তি বাহিনী, বারী খান ইপিআর. আবুল হাসেম মিয়া ইপিআর, গফুর তালুকদার ইপিআর, আবুল বাশার মিয়া ইপিআর. হায়দার আলী ইপিআর, দেলোয়ার হেসেন খান সেনা বাহিনী, আব্দুল হক সর্দার সেনা বাহিনী, আবু বকর খন্দকার পুলিশ, গোলাম সরোয়ার পুলিশ, শাহজাহান তালুকদার পুলিশ, তোফাজ্জেল হোসেন পুলিশ, রশিদ ফকির সেনা বাহিনী, আবু বক্কর মোল্যা মুক্তি বাহিনী, মকছেস আলী মুক্তি বাহিনী, জলিল খান মুক্তি বাহিনী, কুদ্দুস মোল্যা মুক্তি বাহিনী, বাবু খান মুক্তি বাহিনী, আলেম শেখ মুক্তি বাহিনী, আউয়াল মোল্যা মুক্তি বাহিনী, নাজিম উদ্দিন মোল্যা মুক্তি বাহিনী, লাল খান মুক্তি বাহিনী, আবদুল ওহাব খান মুক্তি বাহিনী, ছহেদ শেখ মুক্তি বাহিনী, দুদু মিয়া মুক্তি বাহিনী, আবদুল হাই মোল্যা মুক্তি বাহিনী, আজগর খান মুক্তি বাহিনী, রওশন আলী মিয়া মুক্তি বাহিনী, আবু বক্কর মাতুব্বর মুক্তি বাহিনী, হাবিবুর রহমান শেখ পুলিশ, সিদ্দিকুর রহমান মুক্তি বাহিনী, হিমায়েত হোসেন খন্দকার সেনা বাহিনী, আবুল কাশেম ইপিআর. আউয়াল মোল্লা মুক্তি বাহিনী, ওতারউদ্দিন মল্লিক, সহ যোদ্ধা, এম.এম.ফারুক আহমেদ মুক্তিবাহিনী, মোশারেফ মল্লিক সহযোদ্ধা, মসলেম শেখ সহযোদ্ধা, মসলেম মল্লিক সহযোদ্ধা, পাঁচু শিকদার সহযোদ্ধা ও রওশন মল্লিক সহযোদ্ধা।