গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া ইউনিয়নে ভুইয়াবাড়িতে আত্মঘাতী ড্রেজার দিয়ে পুকুর থেকে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রাজ্জাক মিয়া এসিল্যান্ডকে খরব দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছে সন্দেহে ওই মুক্তিযোদ্ধা বাড়িতে গিয়ে গালিগালাজ ও বাড়িঘর ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ড্রেজার মালিক খোকন ভুইয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রাজ্জাক মিয়া বলেন, আমার বাড়ির ঘরের পাশের পুকুর থেকে অবৈধ আত্মঘাতী ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করতেছিল খোকন ভুইয়া। গোপালগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) কারো খবর পেয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয় ও কিছু পাইপ ভেঙে দেয়। পুকুরের সাথে আমার বাড়ি হওয়ায় তিনি আমাকে ডেকে আমার সাথে কথা বলে। আমার বাড়ির ক্ষতি হওয়ার কথা তাকে জানাই। তখন তিনি ড্রেজার মেশিন চালানো বন্ধ করে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমি তহসিলদারকে খবর দিয়ে এনেছি সন্দেহে খোকন ভুইয়া তার ছেলে নাদিম ভুইয়া, মেয়ে অনন্য ভুইয়া ও সুকন্যা ভ্ইুয়াসহ পরিবারের লোকজন নিয়ে আমার বাড়ি এসে ঘরের দরজায় ইট-পাটকেল মারে। এসময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে এদের এমন আচারণ সইতে পারছিনা।
এব্যপারে খোকন ভুইয়া বলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল রাজ্জাক মিয়াকে আমি কোন গালিগালাজ করিনি ও তার বাড়িঘরে গিয়ে কোন কিছু করিনি। আমার পুকুরে বালু কাটার জন্য ড্রেজার মেশিন বসিয়েছিলাম। পরে তহসিলদার এসে সেটা বন্ধ করে দেয় এবং মেশিনের পাইপ ভেংগে দেয়। এখন আমার পুকুরে কোন ড্রেজার মেশিন নেই।