1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মুকসুদপুর কৃষি অফিসার বাহাউদ্দিন সেখের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ নবীনবরণে নতুন স্বপ্নের আলো : সরকারি মুকসুদপুর কলেজে তারুণ্যের উৎসব যুবদল সবসময় দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে – সেলিমুজ্জামান সেলিম ফরিদপুরে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করতে হাসান আশরাফের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল রাজবাড়ীতে মোবাইল কোর্টে মাদকসেবীর কারাদণ্ড মধুখালীতে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রী হত্যা মামলার প্রধান আসামী গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার মধুখালীতে নতুন কমিটি পেয়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল সালথায় বাসর রাতে যুবকের আত্মহত্যা গোপালগঞ্জে ক্লাস্টারভিত্তিক চিংড়ি চাষে দক্ষতা বৃদ্ধিতে পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ চলছে। মধুখালীতে ইউপি সদস্য সেলিম শিকদারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ফরিদপুরে দখল-দূষণে অস্তিত্ব সংকটে কুমার নদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১৯৭ Time View

দখল-দূষণে ফরিদপুর কুমার নদ। এ যেন দেখার কেউ নেই। মাঝে মাঝে জেলা প্রশাসন এবং শরীতুল্লাহ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি কুমার নদটি বাঁচানোর চেষ্টা করলেও কেউ শুনেন না কারোর কথা। কুমার নদের তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছিল ফরিদপুর শহর। সময়ের বিবর্তনে সেই শহরই এখন নদটিকে প্রতিনিয়ত দূষিত করে চলেছে। দূষণ আর অবৈধ দখলের কারণে নদটি আগের রূপ হারিয়েছে। নদের বেশকিছু অংশ এতটায় দূষিত হয়েছে যে, দুর্গন্ধে পশু-পাখিরাও পানি পান করতে পারে না।
এদিকে, ফরিদপুর পরিবেশ রক্ষায় কুমার নদের দূষণরোধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল। তা না হলে আর কয়েক বছর পর চেষ্টা করেও কুমার নদকে বাঁচানো সম্ভব হবে না বলেই অভিমত তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদপুরের হাজী শরীয়তুল্লা বাজারের সিংহভাগ ,বড় বাজারের সব আবর্জনা ফেলা হয় নদের ধারে। পূর্ব পাশে নিউমার্কেট এলাকার মিষ্টি কারখানা ও খাবার হোটেলের সমস্ত বর্জ্য পঁচাবাসি থালা-বাটি ধোয়ার সমস্ত আবর্জনা ফেলা হয় নদের পানিতে। এছাড়া পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নদীতে এসে শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে শহরের বিভিন্ন স্থানের আবর্জনাও নদীর পাশে স্তূপ করে ফেলা হয়েছে। ফলে আবর্জনাগুলো নদীর পানিতে মিশে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করছে।
এদিকে, শুধু দূষণই নয়, ফরিদপুর কুমার নদের দুই তীরবর্তী স্থান দখল হয়ে গড়ে উঠছে বড় বড় দালানকোঠা। তবে প্রশাসন নদটির বিষয়ে যেন একেবারেই উদাসীন।

ফরিদপুর কুমার নদ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নদটির পানি দূষণমুক্ত রাখতে আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি এবং এখনো অব্যাহত আছে। আমরা একাধিকবার বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছি কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। শুধু প্রশাসন আশ্বাসের সুর দিয়ে চলেছে দূষণ-দখল মুক্ত হবে কিন্তু বাস্তবে তা পূরণ হয়নি। দিনদিন দূষণ বাড়ছে, একইসঙ্গে বাড়ছে দখল।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশ রক্ষা করতে হলে নদী/ নদ বাঁচাতে হবে। তাই প্রশাসন যদি এগিয়ে আসে মাথাভাঙ্গা নদীও বাঁচানো সম্ভব।
নদের তীরবর্তী এলাক এক বাসিন্দা বলেন, এই নদের পানি আগে সব কাজে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু এখন ময়লা-আবর্জনায় দূষিত হওয়ায় পানি ব্যবহার করা যায় না। নদীতে এখন গোসল করা তো দূরের কথা, পানির দুর্গন্ধের কারণে কাছেই যাওয়া যায় না।
নদের পাড়ের আরেক বাসিন্দা বলেন, আগে আমরা এই নদের পানি দিয়ে রান্নার কাজ সারতাম। আর এখন তো গোসল করাই যায় না।
আর্বজনা কুমার নদে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসক (ডিডিএলজি) চৌধুরী রওশন ইসলাম বলেন, আমাদের পৌর শহরের যত ময়লা-আর্বজনা ড্রেনের মাধ্যমে কুৃমার নদে যায়। আসলে আমাদের এ আবর্জনার জন্য নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় এগুলো হয়ে থাকে। তবে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আমরা পৌর শহরের আর্বজনা ও ড্রেনের ময়লা পানি যেন কুমার নদে না যায় সেজন্য ড্রেনের মুখে নেট দেবো। এতে কিছুটা হলেও পানি দূষণ থেকে বাচাঁতে পারবো।
নদী সংরক্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, নানাভাবে এখন কুমার নদের পানি দূষণ হচ্ছে। একইসঙ্গে দখলও হচ্ছে। এ নদ আর আগের মতো নেই। এজন্য আমরা চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। যতটুকু সম্ভব আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তারপরও সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাহলেই কেবল নদটি আগের রূপে ফিরে আসা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর কুমার নদটি প্রমত্তা পদ্মার ফরিদপুর জেলার প্রধান শাখা নদ। এই নদটি বৃহত্তর ফরিদপুরের ৫ জেলাকেই ঘিরে আছে।
২০ বছর আগেও ফরিদপুর জেলা থেকে বহত্তর জেলা নৌকায় করে ব্যবসা বাণিজ্য চলতো হরদম। ৪০ বছর আগে এই নদ দিয়ে রীতিমত লঞ্চ চলাচল করতো। ফরিদপুর-গোপালগঞ্জ, টেকেরহাট, মুকসুদপুর, কাশিয়ানি, মাদারীপুর, ডাসা, ডাম্যুইডা,নশরীয়তপুরের সাথেও ছিল নৌকা, ছোট ছোট লঞ্চ চলাচলের জনাকীর্ণ অবস্থা। আজ সেই যৌবন ভরা ও ব্যবসাবান্ধব নদটির দীর্ঘ ২ শত কিলোমিটার নদ আজ দখলও ভরাট হয়ে কালের স্বাক্ষী হতে চলছে। জরুরি ভিত্তিতে সরকারি হস্তক্ষেপ চান বৃহত্তর ফরিদপুরের মানুষ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
error: Content is protected !!