গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে অনৈতিক কুপ্রস্তাব দেওয়া অভিযুক্ত অধ্যক্ষ নৃপেন সরকারকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করেছে ম্যানেজিং কমিটি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক ও সিনেট মেম্বার অসিম সরকারের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়। উক্ত ঘটনায় ৫সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকার শুক্রবার (২১ জুলাই) গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের প্যাডে লিখিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বহিস্কার করা হয়। এসময় কলেজ ক্যাম্পাজে ব্যানার হাতে বিক্ষোভ ও বিভিন্ন স্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত ১৮ তারিখে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে মোবাইলের কল রেকর্ডিং, ফেসবুক, পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদ ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ২১ জুলাই আপনাকে (অধ্যক্ষ নৃপেন সরকার) সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হলো এবং পাঠদানের কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেওয়া হলো।
প্যাডে আরও উল্লেখ করে বলেন, কলেজের স্থাবর ও অস্থবর সম্পত্তি’সহ আয়-ব্যায়েল হিসাব পত্র-প্রপ্তির ৭ কার্য দিবসের মধ্যে অধ্যক্ষ (ভারপ্রপ্ত) তনি মধুর নিকট বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বলা হলো।
এছাড়াও কলেজের ভারপ্রপ্ত অধ্যাক্ষ তনি মধু’কে আহবায়ক করে শেখ রাসেল কলেজের প্রভাষক আশুতোষ মন্ডল, পঞ্চপল্লী বড়ডোমরাশুর উচ্চ বিধ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ হীরা, টুঠামান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক প্রদ্যুত কুমার ভদ্র, গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের ছাত্র ছাত্রী প্রতিনিধি সমীর বিশ্বাস সদস্য করে ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের সভাপতি অসিম সরকার বহিস্কারের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গোপালগঞ্জ আইডিয়াল কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে অনৈতিক কুপ্রস্তাব দেওয়া অভিযুক্ত অধ্যক্ষ নৃপেন সরকারকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করেছে। উক্ত ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।