ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ঘুরে ঘুরে শাপলা ফুল বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় বাসুদেবপুর গ্রামের সনাতন বিশ্বাস।
চতুল ইউনিয়নের বাইখির চৌরাস্তায় শাপলা বিক্রির পাশাপাশি আলাপচারিতায় সনাতন বিশ্বাস বলেন, আমি আগে অন্য ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলাম। জীবিকা অর্জন আর পুঁজি ছাড়া এ ব্যবসা করা যায় বলেই প্রতি বছরেই আমরা এই ব্যবসা করি। তিনি আরও জানান, প্রতিদিন ভোর রাতে শাপলা তুলতে চলে যাই নিজ উপজেলার মকসেদপুরের উজানি বিলে। প্রতিদিন আমি কমপক্ষে ৪০০ থেকে ৭০০ মুঠো শাপলা সংগ্রহ করতে পারি।
শাপলা ফুল শুধু গ্রামেই নয়, শহরেও তরকারি হিসেবে শাপলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশের প্রায় সবখানে খাল, বিল, পুকুর, ডোবায় শাপলা পাওয়া যায়। বিলের একদল নিবেদিত প্রাণ এ শাপলায় সবজির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি কাটাচ্ছেন নিজের সংসারের দৈন্যদশাও।
বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায়, প্রতি ১০০ গ্রাম শাপলার লতায় রয়েছে ১.৩ গ্রাম খনিজ পদার্থ, ১.১ গ্রাম আঁশ, ৩.১ গ্রাম ক্যালোরি-প্রোটিন, ৩১.৭ গ্রাম শর্করা, ৭৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম।
শাপলা শুধু সৌন্দর্য ছড়ায় না; খাদ্য চাহিদাও পূরণ করে। বর্ষায় গোপালগঞ্জে জেলায় শাপলা ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা জীবিকার অন্যতম অনুসঙ্গ হয়ে ওঠেছে সেখানকার কয়েকশ পরিবারের। সবজি হিসেবে শাপলার চাহিদা থাকলেও দূষণ ও জলাশয় কমতে থাকায় এখন আর আগের মত শাপলা পাওয়া যায় না। আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় এই শাপলা।
কাদিরদী উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কমিউনিটি উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা.নুরুল ইসলাম বলেন, পুষ্টিসমৃদ্ধ শাপলা সবজি হিসেবে জীবন যাপনে বড় ভূমিকা রাখার বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যেও ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। ‘যে শাপলা বিলে জন্মে বিলেই পচে যেত, সে শাপলা সবজি হিসেবে আজ অনেকেই বাঁচার একমাত্র সম্বল।