রিয়াজ মুন্সী ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়ায় মাফিয়ার হাতে খুন হয় । রিয়াজ মুন্সী সালথা থানার চরবল্লবদি গ্রামের ইউনুস মুন্সির ছেলে। বাড়িতে বইছে শোকের মাতাম। ইতালি পাঠানোর নৈপথ্য ছিলেন আলামিন কাজী ও তার ভাই বাবুল কাজী। গত রোববার রিয়াজ মুন্সীর মরদেহ দেশে আশে পরে এই ঘটনায় নিহত রিয়াজের ভাই বাদি হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে মামলা নং-২৪৮/২৪।
গতকাল সোমবার ময়না তদন্ত শেষে চরবল্লবদি গ্রামে রিয়াজ মুন্সীর দফন সম্পন্ন হয়।
এদিকে গত রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার নগরকান্দার গজারিয়া মোড়ে রিয়াজ মুন্সীর হত্যাকারী আলামিনের ফাসির দাবিতে মানববন্ধন করে স্থানীরা। এসময় আলামিনের ফাসি চাই ফাসি চাই সেøাগানে মুখরিত হয় গজারিয়া মোড়। নিহত রিয়াজ মুন্সি সালথা থানার চরবল্লবদি গ্রামের ইউনুস মুন্সির ছেলে। অভিযুক্ত আলামিন কাজী নগরকান্দা থানার গজারিয়া গ্রামের ছালাম কাজীর ছেলে।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে নিহতর স্বজন ও স্থানীয়রা খুনি আলামিনসহ ঘটনার সাথে জড়িত সকলে বর্ননা তুলে ধরে বলেন, আলামিন কাজীর ভাই বাবুল কাজী ইতালি থাকে আলামিন লিবিয়া এবং আরেক ভাই রবিউল থাকে অন্য আরেক দেশে আলামিনের দুলাভাইসহ কিছু এজেন্ট আছে আমাদের এলাকায় এরা সরাসরি ইতালি নেয়ার কথা বলে আমাদের এলাকার অনেক পরিবারকে নিস্বঃ করেছে। প্রথমে ২০ লক্ষ টাকা নেয় পরে মাফিয়া ধরেছে বলে আরো ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা আদায় করে টাকা নেয়ার পরে কেউ বাংলাদেশে ফেরত আসে আর কেউ খুন হয় এই পর্যন্ত প্রায় সাতজনের খবর আমরা পেয়েছি।
নিহত রিয়াজ মুন্সির বড় ভাই মো:রাকিব মুন্সি ও দিলো রিয়াজ হত্যার ভয়াবহ বর্ননা, আমার ভাই রিয়াজকে ইতালি পাঠাবে ২০ লক্ষ টাকা লাগবে এমন ভবে কথা হয় আলামিনের দুলাভাইর সাথে আমার । বেশি গেলেও সরাসরি বিমানে নিবে আমরা টাকা দিয়ে দেয়। পরে আমাদের বলে বাংলাদেশ থেকে তো টিকিট পাচ্ছি না ভারত থেকে যেতে হবে এই কথা বলে আমার ভাইকে লিবিয়া নিয়ে যায় চলতি বছরের মার্চ মাসের ৩ তারিখে, বলে কোন সমস্যা নাই এখান থেকে বিমানে জাবে পরে কিছুদিন পরে বিভিন্ন সময় ভাইকে দিয়ে আরো ১৫ লক্ষ টাকা লাগবে না হলে মাফিয়ারা মেরে ফেলবে বলে জানায়।
আমরা টাকা দেওয়ার কথা অশিকার করলে শুরু হয় নির্যাতন বিভিন্ন সময় ভিডিও কলে আমাদের দেখায় অত্যাচার করছে। আমরা অনেক কষ্ট কের জুলাই মাসে টাকা জোগাড় করি কিন্তু শুক্রবার হওয়ার কারণে টাকা পাঠাতে পারিনি।
আলামিনের সাথে আমাদের কথা হয় রোববারে টাকা পাঠাবো কিন্তু বাংলাদেশে হটাৎ ছাত্র আন্দলনের কারনে সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দিলে আমরা আর কোন ভাবে ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি ২৩ জুলাই যোগাযোগ করি অনেক কষ্টে ভাইকে ফোনে না পেয়ে অন্য একজনকে ফোন করলে বলে আপনার ভাইয়ের লাশ পাওয়াগেছে ময়লার ডাসবিনে। তার পর থেকে আলামিন-বাবুল ও তার দুলাভাই কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। লিবিয়া থাকা আরো বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় ও বাংলাদের সরকারে সহযোগিতায় আমার ভাইয়ের লাশ দেশে এনেছি ।
স্থানীয় সুত্র জানাযায়, আলামিনের বাবা একজন ফেরিওলা ফেরিকরে চিলবরের মালামাল বিক্রয় করতো একছেলে বিদেশে যাওায়ার পর থেকে পেয়েছে আলাদিনের চেরাগ এক এক করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে তিন ভাই । বাড়ি থাকার মতো একটি ঘরনেই কিন্তু জমি কিনেছে প্রায় ২ কোটি টাকার শুধু নিজ গ্রামে ইতালি নেয়ার কথাবলে লিবিয়া নিয়ে নির্যাতন করে হত্যা করেছে এ পর্যন্ত প্রায় ৬-৭ জনকে আমাদের এলাকার না শুধু এজেন্ট আছে সারা বাংলাদেশে।
এই ঘটনায় নিহত রিয়াজের ভাই বাদি হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্য মামলা দায়ের করেছে মামলা নং-২৪৮/২৪। আলামিন কাজি নগরকান্দা থানার জযারিয়া গ্রামের ছালাম কাজীর ছেলেও নিহত রিয়াজ মুন্সি সালথা থানার চরবল্লবদি গ্রামের ইউনুস মুন্সির ছেলে।