ফরিদপুরের প্রাণ কুমার নদ। দীর্ঘদিন যাবৎ অবহেলা আর অবজ্ঞায় হারাতে বসেছিলো তার নাব্যতা। এই নদকে ঘিরে দূষণ আর দখলে মেতে উঠেছিলো অনেকে। তবে, বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় ফরিদপুর জেলাপ্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদারের পিএএ। এরপর থেকে তিনি দখল ও দূষণ প্রতিরোধে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেন। যার অংশ হিসেবে গত ১৭ই জুন প্রথমে কচুরিপানা অপসারণের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এতে ফরিদপুরের সর্বস্তরের মানুষ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। মাত্র দুইদিনের মধ্যেই হারানো সেই রুপ-বৈচিত্র ফিরে পায় কুমার নদ।
সেই ধারাবাহিকতায় এবার দখল ও দূষণ রোধে সচেতনতামূলক নৌ-র্যালীর আয়োজন করেছেন জেলা প্রশাসন। র্যালীটি আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় শহরের আলীমুজ্জামান ব্রীজ সংলগ্ন বিসর্জন ঘাট থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ চরকমলাপুর সংলগ্ন মাদ্রাসা ঘাটে গিয়ে শেষ হবে বলে এক আমন্ত্রণপত্রে জেলাপ্রশাসক মোঃ কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ জানিয়েছেন।
ঐ পত্রে তিনি সকলকে নৌ-র্যালীতে অংশগ্রহণ করার জন্য সাদর আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন- ‘গত ১৭ই জুন ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনসাধারণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ফরিদপুর শহর সংলগ্ন কুমার নদের কচুরিপানা অপসারণ করে নৌ চলাচলের উপযুক্ত করা হয়। কুমার নদের দূষণরোধ, দখলমুক্তকরণ ও বছরব্যাপী চলাচল উপযুক্ত রাখার প্রত্যয়ে জেলা প্রশাসনের উদ্যেগে এই সচেতনতামূলক নৌ-র্যালীর আয়োজন করা হয়েছে।’
গত ১৭ই জুন কচুরিপানা অপসারণ কর্মসূচির পর গত ২২শে জুন বৃহস্পতিবার সকালে জলা প্রশাসনের আয়োজনে কুমার নদ দখল ও দূষণ রোধে জনসচেতনতামূলক র্যালি ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। ঐ র্যালিটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে কুমার নদ রক্ষায় নদ-নদী দূষণ রোধে চকবাজার, হাজী শরিয়তউল্লাহ বাজার, ময়রাপট্টিসহ বিভিন্ন বাজারে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এ কর্মসূচিতে ফরিদপুরের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।