মুকসুদপুরে পূব শত্রুতার জেরে ধরে জামাল মোল্যার উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের লোহাইড় গ্রামে। আহত জামাল মোল্লা মৃত আরজু মোল্লার ছেলে।
আহত জামাল মোল্লার বোন সারমিন সুলতানা গত ১ আগস্ট মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মিয়াকে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, গত ২৭ জুলাই জামাল মোল্যা বাড়ী হতে বাটিকামারী বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে ইবাদত মোল্যার চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছামাত্র উৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে জামাল মোল্যাকে জখম করে। চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে বিভিন্ন লোকজন এসে উদ্ধার করে পরে জামাল মোল্যাকে চিকিৎসার জন্য মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করলে ঢাকা শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে ঢাকা শহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
মামলার বাদী সারমিন সুলতানা বলেন, মিলন খন্দকার ধারালো রামদা দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে -আমার ভাই জামাল মোল্যা এর মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারে। সবুজ মোল্যার হাতে থাকা লোহার হাতুরী দিয়ে খুনের উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি মারে মজিবর খন্দকারের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে আমার ভাইয়ের মাথা লক্ষ্য করে বাড়ি মারলে বাড়ি বাহুর নিচে লেগে । নাসির খান হত্যার উদ্দেশ্যে হাত দিয়ে আমার ভাই জামাল মোল্যার অন্ডকোষ চেপে ধরে। ইকবাল মোল্যা শাসরোধ করে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে। সালাউদ্দিন মিয়া তার হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে আমার ভাইয়ের পিঠের বাম ভাগে বাড়ি মারলে মারাত্মক জনম হয়ে আমার ভাই মাটিতে পড়ে গেলে শাহজাহান খান আমার ভাইয়ের পিঠের উপর পাড়াইয়া ধরে। আমার ভাইয়ের চিৎকারে আশপাশ থেকে বিভিন্ন লোকজন এসে উদ্ধার করে পরে হাসপাতালে নিয়ে যাই। তিনি আরো বলেন, আসামীরা আমার ভাইকে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করে বলে যে এই বিষয় নিয়ে কোন প্রকার বারাবারি বা থানা পুলিশ করলে খুন করে লাশ গুম করে ফেলবো।
মামলার তদন্ত কর্মকতা এস আই শামীম আল মামুন বলেন, গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলেছে এখনো কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারিনি।