ফরিদপুরে একের পর এক ধসে পড়ছে নির্মাণাধীন ব্রীজ। এতে কাজের মান এবং সংশ্লিষ্টদের তদারকি নিয়ে অবহেলার প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। কিছুদিন পূর্বে জেলার সদরপুরে ব্রীজ নির্মাণকালে মাটি ধসে পড়ে ৩ শ্রমিক নিহতের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ভাঙ্গায় এলজিইডির নির্মাণাধীন একটি সেতুর কাঠামো ধসে পড়েছে; তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কাউলীবেড়া ইউনিয়নের বৈঠাখালি খালের ওপর নির্মাণাধীন সেতুতে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে জেলার নগরকান্দায় একটি নির্মাণধীন ব্রীজ ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভাঙ্গায় ছয় মাস আগে বৈঠাখালি খালের ওপর ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৪ মিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমতিয়াজ আসিফ কনস্ট্রাকশন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ঢালাই দেওয়ার কথা ছিল।
এ বিষয়ে ইমতিয়াজ আসিফ কনস্ট্রাকশনের মালিক আসিফ ইমতিয়াজ বলেন, “সরকারি বেঁধে দেওয়া নিয়ম মেনে আমরা কাজ করছিলাম। দুর্ভাগ্য অতিবৃষ্টির কারণে খালের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শাটারিংয়ের নিচ থেকে মাটি সরে এ ঘটনা ঘটে।”
এ বিষয়ে ভাঙ্গার কাওলীবেড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল হোসেন দুদু মিয়া বলেন, ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে নির্মাণাধীন সেতুটি ধসে পড়েছে। এই ঘটনায় শ্রমিকদের বিপদ হতে পারত।
স্থানীয় করিম মিয়া বলেন, নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িতদের দায়িত্বে অবহেলা ও বর্ষা মৌসুমে তড়িঘড়ি করে কাজ করতে গিয়ে এমনটা হয়েছে।
তবে ভাঙ্গা উপজেলার এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আক্তার হোসেন বলেন, “২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বৈঠাখালি খালের ওপর ২৪ মিটার দীর্ঘ এই ব্রিজের কাজ শুরু করি। খালের পানির বেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণে সেতুটি ধসে পড়েছে।”
ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিম উদ্দিন বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ব্রিজের এখনও ঢালাই কাজ শুরু হয়নি। শুধু স্ট্রাকচার তৈরি হয়েছে। তবে বৃষ্টির পানিতে বাঁশের খুঁটি সরে যাওয়াতে ব্রিজের স্ট্রাকচার দেবে গেছে।” এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।