ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণীরা -যাযাদি মাঠেমাঠে পাকা ধানের সমারোহ। দিগন্তজুড়ে চলছে সোনালি ধানের দোলা। ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। চলছে ধান কাটার উৎসব। গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরে চলছে ধান কাটার ধুম। কৃষক-কৃষাণীরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপজেলার ১৩ হাজার ৬২৩ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।
তাতে ফলন হয়েছে ১০০৮৪০ মেট্রিক টন।
কৃষি প্রধান এ উপজেলার শতকারা ৯০ ভাগ কৃষক ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল। সাধারণত পৌষের মাঝামাঝি সময় থেকে মাঘ মাসের মাঝ পর্যন্ত এই ধান রোপণ করা হয়। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ পর্যন্ত ধানের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ জমির ধান প্রায় পেকে গেছে। কৃষক এখন পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সোনালি ধানের ম-ম গন্ধে মনের আনন্দে কাজ করছেন তারা। কথা বলার মতো যেন ফুসরত নেই তাদের। এসব ধান নিয়ে কৃষক কৃষাণী যেমন ব্যস্ততা, তেমনি আনন্দও লক্ষ করা যাচ্ছে তাদের মধ্যে।
কৃষকের ধান কাটার আনন্দ গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমকেও হার মানাচ্ছে। উপজেলার বহুগ্রামের কৃষক নিতাই বলেন, দাম ও আবহাওয়া ভালো থাকায় অন্য বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশি ধান চাষ হয়েছে। ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি একটু বেশি। মাথাপিছু শ্রমিককে ৬০০ থেকে ৮০০০ টাকা দিতে হচ্ছে। কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক নাজমুল ঠাকুর বলেন, সরকারি সহযোগিতা ও কৃষি কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার কারণে কৃষকদের মধ্যে ধানচাষে আগ্রহ বেড়েছে। পানির অভাব ও ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন পাবেন বলে তার আশা।
কৃষক খাইরুল ইসলাম বলেন, ছয়টি ধানের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ জাতের ধানটিতে রোগবালাই ও চিটা কম হয়েছে। ধান পাঁকলেও গাছ এখনো শক্ত ও সতেজ রয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষকদের এ জাতটি নজর কেড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার বাহাউদ্দিন সেক জনান, ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষক যাতে লাভবান হয় সেজন্য তারা সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। যেখানেই সমস্যা দেখা যাচ্ছে সেখানেই দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। অধিক ফলনের জন্য পরিমত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছেন।