ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পঞ্চপল্লীতে নির্মাণ শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনার নেতৃত্বে থাকা এক শীর্ষ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় ফরিদপুর জেলা পুলিশের কার্যালয়ে মধুখালী থানাধীন ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর সার্বজনীন কালী মন্দিরে আগুন দেওয়ার অভিযোগে গণধোলাইয়ে কৃষ্ণনগর পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইজন নির্মাণ শ্রমিক নিহত ও পাঁচজন নির্মাণ শ্রমিক আহত এবং সার্বিক আইন—শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ফরিদপুর জেলা পুলিশের এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তিনি গ্রেফতারকৃত ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় জানাননি গণমাধ্যমকমীর্দের। এসময় পুলিশ সুপার মোর্শেদ আলম বলেন, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পঞ্চপল্লীর মন্দিরে অগ্নিসংযোগের গুজব ছড়িয়ে গ্রামবাসীকে উত্তেজিত করা হয়। সেখানে আসলেই কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করেছে সেটি এখনো পরিস্কার না। তদন্তে তা বেরিয়ে আসবে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। তিনি বলেন, এ ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং হতাহতদের চিকিৎসা ও দাফন কাজে সার্বিক সহায়তা করায় মামলা রুজুতে কিছুটা সময় নিয়েছে। রাতেই মামলা হবে। এর মধ্যে মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, নির্মাণ শ্রমিকদের হতাহত করা ও পুলিশ আহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মোট তিনটি মামলা হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলায় ঘটনা বেশি দুরে গড়ায়নি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে জেলা পুলিশের একজন প্রতিনিধি এবং জেলা আনসার ও ভিডিপির কমান্ড্যান্টকে নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসলে সেখানে কি ঘটেছিলো। এসময় পুলিশ সুপার ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ফরিদপুরের পুলিশ ফোর্স ছাড়াও ঢাকা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনার বিষয়টি জানান। পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পরেরদিনই ছিলো শুক্রবার। জুমার নামাজের পরে যাতে কেউ ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে না পারে সেজন্য আমরা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করি। খু্বই ধৈর্যের সাথে আমরা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সমর্থ হই। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর তুহিন লস্কর উপস্থিত ছিলেন।