গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত তিন মাসে আউট ডোরে প্রায় ৩০ হাজার রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। মুকসুদপুর হাসপাতালটি কাগজে কলমে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও সচল ভাবে চলছে ৫০ শয্যা। ডাক্তার নার্স কম থাকায় অক্লান্ত ভাবে পরিশ্রম করতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। তার পরেও থেমে নেই চিকিৎসকরা।
হাসপাতালের নার্সরাও অক্লান্ত ভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে হাসপাতালে প্রধানসহ ১৯ জন ডাক্তার আছেন তাদের মধ্যে মেডিকেল অফির্সার ১৫জন ৩জন জুনিয়র কনসালটেন্ট আছে। হাসপাতালটি ৫০ শয্যা হিসেবে ডাক্তার নার্স আয়া দিয়ে থাকার কথা ১৭৬ জন বর্তমানে ডাক্তার নার্স আয়া আছে ৮৯ জন, শূন্য পদ রয়েছে ৮৭টি এর মধ্য মেডিকেল অফিসার ৯টি কনসালটেন্ট ৬ টি।
বর্তমান যারা চিকিৎসক আছেন তারা হলেন:
ডা: রায়হান ইসলাম শোভন মেডিকেল প্রধান, ডা: অনুয়ারিফিন মৃধা মেডিকেল অফিসার, ডা: ইয়াসিন আরাফাত নিশান মেডিকেল অফিসার, ডা: জাহিদুল ইসলাম (সাগর) মেডিকেল অফিসার, ডা: দীপ সাহা মেডিকেল অফিসার, ডা: মোঃ মতিউর রহমান মেডিকেল অফিসার (আয়ুর্বেদিক), ডা: অরিন্দম ভক্ত মেডিকেল অফিসার, ডা: সালাউদ্দিন সুজন মেডিকেল অফিসার, ডা: নিলয় রঞ্জনবল্লভ মেডিকেল অফিসার, ডা: ভিম দেব মন্ডল মেডিকেল অফিসার, ডা: কেয়া বালা সহকারি সার্জন, ডা: রোমানা জামান সহকারী সার্জন, ডা: তপন ভক্ত সহকারি সার্জন, ডা: জিহাদ হোসেন সহকারি সার্জন, ডা: নাজিয়া আলম যুথী সহকারী সার্জন হিসেবে কর্মরত আছেন, ডা: মাহমুদা খাতুন জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি),
ডা: মোঃ শাহজাহান সিরাজ জুনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু), ডা: মোঃ মনিরুজ্জামান জুনিয়র কনসালটেন্ট (এ্যানেসথেশিয়া)।
হাসপাতলে চিকিৎসা নিতে আশা রোগীরা বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ অনেক হাসপাতালের চায়েও ভালো এখানে ডাক্তার দেখাতে কোন সমস্যা হয়না কোন দালালের হাত ধরা লাগেনা তবে অনেক সময় সিরিয়ালে দাড়াতে হয় অনেক রোগী থাকার জন্য আরো কিছু ডাক্তার থাকলে আমাদের আর সিরিয়ালের জন্য কষ্ট করতে হতো না।
গোপালপুর গ্রামের হাটু ব্যাথার জন্য চিকিৎসা নিতে আশা রোগী রুহুম আলী বলেন, আমি ডাক্তার দেখাতে আসছি অনেক রোগী তবে একটা জিনিস ভালো লাগলো কোন দালাল নাই সিরিয়ালে থাকলেও কষ্ট হয়না সিরিয়াল মতো রোগী দেখেন ডাক্তাররা।
ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহের প্রথম দিন রোগীর অনেক চাপ থাকে তবে আমাদের রোগীরাও অনেক ধৈর্য্য নিয়ে লাইনে দাড়িয়ে সেবা নেন আমাদের একটু বেশি চাপ হয়ে যায় তার পরেও ভালো লাগে সেবা দিতে পেরেছি ।
ডাক্তার মোঃ মতিউর রহমান) মেডিকেল অফিসার (আয়ুর্বেদিক) বলেন, প্রতিদিন কমপক্ষে ৭০ থেকে ৭৫ জন রোগী আসে শুধু আয়ুর্বেদিক সেবা নিতে তবে সোবা দিতে পেরে আমার নিজের কাছে খুব ভালো লাগে।
এদিকে হাসপাতালে সিজার নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে সরকারি ভাবে। সরকারি ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে বিনা মুল্যে।
অপরদিকে প্রতিদিন ইমারজেন্স ভাবে আশা প্রয় ৫০ জনের মতো রোগি চিকিৎসা সেবা নেন, হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেন প্রতিদিন ১০৩ জন রোগি।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রায়হান ইসলাম শোভন বলেন, আমি এই হাসপাতালের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে নিজের মনে করে নিয়েছি সব চাইতে বড় কথা আমি মুকসুদপুরের সন্তান এখানে ৯৫ শতাংশ রোগী মুকসুদপুরের আমার এলাকার মানুষ কিভাবে সেবা পাবে আমার কাছে সেইটা বড় বিষয়। গত ৩ মাসে সরকারি ভাবে আউট ডোরে চিকিৎসা সেবা নিয়েছে ২৮,৮১৮জন রোগী। তবে অনেক সময় আমাদের ডাক্তার কম থাকার করণে রোগীদের বেশি সময় লাইনে দাড়াতে হয়।
তিনি আরো বলেন, মুকসুদপুরের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের আরো ৬ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে সেখানেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের মুকসুদপুর হাসপাতাল বাংলাদেশের ভিতর ২য় স্থান অধিকার করেছে সেবার মানে, আমি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমাদের হাসপাতালের শূন্য পদগুলো পূরন করবে সরকার।