গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বহুগ্রামের মটবাড়ি ১৩৮ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাকলি সরকারের বিরুদ্ধে স্কুলের বিভিন্ন টাকা আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ভাবে জানাযায়, কাকলি সরকার নিজেই স্কুল প্রতিষ্ঠাতা থেকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছে, স্কুল সরকারি হওয়ার পরে কাকলি সরকার সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পেলেও প্রধান শিক্ষকের আসনে বসে দায়িত্ব পালন করছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয়দের ও সচেতন মহলের মাঝে ক্ষোপ বিরাজ করছে। শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। কাকলি সরকার নিয়মের তোয়াক্কা না করে স্কুল পরিচালনা করে আসছে কিছু অসাধু কমিটির সদস্য নিয়ে।
স্কুলের কোন সিধান্ত নিতে মেনেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে মিটিং না করেই রেজিলেশন খাতায় কিছু না লিখে সাদা খাতায় সই নেন । পরে ইচ্ছে মতো রেজিলেশন লিখে নেন । ফলে স্কুলের কোন উন্নায়ন হচ্ছেনা।
ঘটনার সত্যতা যাচায়ের জন্য প্রধান শিক্ষর কাকলি সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিটিং করে সব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। খাতা দেখতে চাইলে তিনি বলেন মিটিং হয়েছে তবে এখনো রেজিলিশন লেখা হয়নি। পরে খাতা দেখালে দেখা জায় গত ২০২২ইং সালের পরে কোন রেজিলেশন লিখা হইনি।
তবে ২০২৩ সালে তিনটা মিটিং হয়েছে সভাপতিসহ অনেক সদস্যরা সই করেছে। সাদা রেজিলেশন খাতা সই নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক কাকলি সরকার বলে সময় পাইনি লিখতে।
ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি অসিদ ঠিকাদার বলেন, আমাকে প্রধান শিক্ষক সই করতে বলছে আমি সই করছি, কি লিখেছে না লিখেছে আমি জানিনা। সাদা খাতায় সই দেওয়া ঠিক কি না জানতে চাইলে কোন উত্তর দেননি তিনি।
নামা প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জনে বলে আমরা হিন্দু মানুষ কিছু বলতে পারিনা কাকলি সরকারের অনেক মানুষ আছে চেয়ারম্যানের কাছের মানুষ আর কোন দিনতো কোন শিক্ষা অফিসাররা এসে দেখেনা কয় টাকার কাজ করলো না করলো।
এটিও রাজু ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ব্যপারে কিছুই জানি না আপনার কাছ থেকেই প্রথম শুনলাম আমি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব । তিনি আরো বলেন, রেজিলেশন খাতা না দেখে কোন মন্তব্য করতে পারি না।