1. kazi.rana10@gmail.com : Sohel Rana : Sohel Rana
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মুকসুদপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫ নগরকান্দায় সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা খুন” গোপালগঞ্জে শেখ সেলিম-কানতারা খানসহ ১১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা সালথায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে পেঁয়াজ বীজ ও সার বিতরণ সালথা উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক বাবু অনন্ত বিশ্বাস ফরিদপুরে কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ব্যাংকের এজেন্ট মালিক ফরিদপুরে তরুণীকে উত্ত্যক্ত, প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে গুলি ফরিদপুরে বাসের হেলপার সাদ্দামকে হত্যার দায়ে পাঁচজনের যাবজ্জীবন বিগত তিন জাতীয় নির্বাচনের সিইসিদের বিরুদ্ধে মামলা আওয়ামী লীগের মতো করলে একই দশা আমাদেরও হবে: মির্জা ফখরুল

মুকসুদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম ক্লাশ নিচ্ছে হিন্দু শিক্ষক

মুকসুদপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৩২ Time View

মুকসুদপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম ক্লাশ নিচ্ছে হিন্দু শিক্ষক। জানাযায় গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ৬৩ নং ঘুন্সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট ও মুসলমান শিক্ষক না থাকায় হিন্দু শিক্ষক দিয়েই চলছে ইসলাম ধর্ম ক্লাশ। এ ব্যাপারে ৬৩ নং ঘুন্সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোসা: সাহিদা নেছা খাদিজা মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এক জন মুসলমান শিক্ষক চেয়ে গত ১১/০২/২০২৪ ইং আবেদন করেন। সূত্রে জানাযায়, ঐ বিদ্যালয়ে মাত্র তিন জন শিক্ষক রয়েছে তারা সকলেই হিন্দু। শিক্ষার্থী যারা আছে তারা সকলেই মুসলমান। ইসলাম ধর্ম পাড়ানোর মত কোন শিক্ষক নেই। ৬৩ নং ঘুন্সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোসা: সাহিদা নেছা খাদিজা বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে ৬৩ নং ঘুন্সী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে।

এছাড়া বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও কোনো মুসলিম শিক্ষক নেই। এ যাবৎকাল তিন জন হিন্দু শিক্ষক দিয়ে ইসলাম শিক্ষা পড়ানো হচ্ছে। কুরআনের যে সূরাগুলো ও আয়াত রয়েছে সেগুলো কিভাবে উনারা পাঠদান করেন তা আমার বোধগম্য নয়। অপরদিকে, যেহেতু প্রধান শিক্ষকসহ ৩ জন ম্যাডাম রয়েছে সেহেতু ৯:৩০ থেকে ৪:০০ পর্যন্ত পাঠদান করানো দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ প্রধান শিক্ষিকাকে বেশির ভাগ সময় অফিসিয়াল কাজের জন্য মুকসুদপুর যেতে হয়। এতে করে প্রত্যেক শিফটে ৩টা ক্লাস চলমান রাখতে ২ জন ম্যাডামের উপর চাপ পড়ে। প্রাক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস ১ম শিফটে এবং তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণি ২য় শিফটে। এমতাবস্থায় ২জন ম্যাডাম ৩টা ক্লাস কিভাবে পরিচালনা করবে গভীরভাবে ভাবার বিষয়। আমি সরজমিনে গিয়ে দেখি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক কক্ষে নিয়ে ক্লাস করাচ্ছেন। এতে করে ভালো ফলাফল কিভাবে আশা করা যায়। যদি একজন দপ্তরী বা নৈশ প্রহরী থাকতো তাহলে তা দিয়ে ঘণ্টা দেওয়া ও ক্লাসের বাচ্চাদের শান্ত করার কাজটা হয়তো বা কোনোভাবে চলতো।

কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় সেটাও নেই। আমি সভাপতি হিসেবে যে শিক্ষকদের কিছু বলবো তাও পারিনা। কারণ, আমি নিজে একজন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমি বুঝি একজন শিক্ষকের পক্ষে বিরতিহীন ভাবে পাঠদান করানো সম্ভব নয়। যদি সেটা করানো হয় তবে সেটা অকার্যকর পাঠদান ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু এমন অনেক বিদ্যালয় আছে যেখানে শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক বেশি। ঘন্সী কেন এই অবস্থা? কার কাছে বললে এর সুরাহ হবে জানিনা। আমরা পরিচালনা পরিষদের সদস্য হয়ে দীর্ঘ দিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেও কোনো ফল পাইনি। এখন বাধ্য হয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2023
Developed By : JM IT SOLUTION