মুকসুদপুর উপজেলায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন নকল, অনুমোদন ও মানহীন ভেজাল খাদ্যসামগ্রী। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও দোকানে নিয়মিত এসব খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হচ্ছে। এসব খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চিপস, চানাচুর, কটকটি, বিস্কুট, পাউরুটি, কেক, নুডলস, পাস্তা, জুস, আচারসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার। এছাড়া বিভিন্ন প্রকার মশার কয়েলের মোড়কে মেয়াদ, কোম্পানীর সঠিক ঠিকানা নেই।
সরজমিনে উপজেলার মুকসুদপুর বাজার, বনগ্রাম, বাটিকামারি, বোয়ালিয়া, আদমপুর, উজানিসহ সমগ্র উপজেলার ছোট বড় বাজারগুলোর দোকান ঘুরে দেখা যায়— অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব অনুমোদন ও মানহীন বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী।
যার প্যাকেটে নেই কোন উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ, মূল্য বা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম—ঠিকানা। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাংস ও মাছের মসলা এবং বিস্কুটের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে অনুমোদনহীন ও মানহীন চিপস। আবার মেরিডিয়ানসহ বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের মোড়ক ও প্যাকেট নকল করে তাতে বিক্রি করা হচ্ছে মানহীন চিপস, বিস্কুট, জুস, চকলেটসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী। এসব খাবারের অধিকাংশই শিশুখাদ্য, ফলে হুমকির মুখে পড়েছে শিশুস্বাস্থ্য।
এসব খাদ্যসামগ্রী বাজারজাত করছেন তাদের বেশিরভাগেরই নেই বিএসটিআই’র অনুমোদন। শিশুদের এসব খাবারের প্রতি আকৃষ্ট করতে কিছু পণ্যের প্যাকেটের মধ্যেই দেয়া হয় শিশুদের ছোট আকারের বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী, লজেন্স, হাতঘড়ি, নগদ টাকা। এছাড়া কিছু প্যাকেটে প্লাস্টিকের ব্যাট, ফুটবল, লাটিম, খেলনাগাড়ি, চড়কি, ভিউকার্ড, প্লাস্টিকের বাটি ও গামলাসহ শিশুদের বিভিন্ন খেলনার নাম সম্বলিত ছোট কাগজ ঢুকিয়ে দেয়া হয়। সেসব খাদ্যসামগ্রী কিনলে ভিতরে ঢুকানো কাগজে লেখা জিনিস বিনামূল্যে দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকানদার জানান, যারা তাদের এসব খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করেন তাদের অধিকাংশের নাম, ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর তাদের কাছে নেই। যে সমস্ত খাদ্যসামগ্রী তারা রাখেন, এগুলো শেষ হয়ে গেলে তারা নিজেরাই এসে আবার দিয়ে যান।
এসব খাবার শিশুদের শরীরে কিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে জানতে চাইলে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রায়হান ইসলাম শোভন বলেন, ভেজাল খাবার খেলে বাচ্চাদের নানাবিধ সমস্যা হয় যেমন পেটের পীড়া, আমাশয়, ডায়রিয়া, ক্ষুধামন্দা, কোয়াসিয়ারকর মেলাসমাস গ্রোথ রিটারডেশন, লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।