মুকসুদপুর প্রতিনিধি : মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জে আব্দুল আলী ও হালিবন নেসা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ১০ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। ৩২ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খোলা মাঠে ১০ হাজারের বেশী রোগীকে বিনামুল্যে পরামর্শ এবং বিনামুল্যে ১২ লাখ টাকার ওষুধ বিতরন করা হয়েছে।
বুধবার দিনব্যাপী মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় । এর আগে ফাউন্ডেশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. মো. মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সেলিমশেখ, সিনিয়র সহ—সভাপতি প্রকৌশলি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল বাকী শরীফ, প্রচার সম্পাদক নীলরতন পাল এবং বাটিকামারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাওলাদার মোহাম্মদ ইকরামসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ ক্যাম্পে মুকসুদপুর, নগরকান্দা, ভাঙ্গা ও রাজৈর উপজেলার রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। পরে ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীদের বিনামূল্যে ১শ প্রকার ওষুধ বিতরণ করা হয়। চিকিৎসা নিতে আসা মুকসুদপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের ইকরাম মিয়া বলেন, এখানে এসে গাইনি বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসা, ব্যবস্থাপত্র ও ওষুধ পেয়েছি। ভালো মানের ডাক্তার দেখাতে পেরেছি। এতে আমার মতো আরও অনেকেই উপকৃত হয়েছেন।
রাজধানী ঢাকার উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা: দেবাশিষ বিশ্বাস সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জানান ঢাকা থেকে কিডনী, ইউরোজি গাইনি, মেডিসিন, কার্ডিওলজিস্ট, স্কিন, চক্ষু, দন্ত, অর্থোপেডিক, ডায়াবেটিক, নিউরোলজি সহ ১৬ টি বিভাগের ৩২জন চিকিৎসক এসেছি। আমরা সকাল সায়ে নয়টা থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান শুরু করি। বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও প্রেসক্রিপশন করে দিয়েছি।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো.মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে দশ হাজার মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। বৃহত্তর পরিসরে প্রতি বছরই আমরা একদিন এই আয়োজন করি।
তারপর সারা বছরই আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা ফলোআপ করে থাকি। এছাড়া এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র, মানবিক খাদ্য সহায়তা, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, মেধাবীদের বৃত্তি প্রদান সহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য আমাদের সেবামূলক কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ধারায় শামিল করতে আমাদের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।