গত ৩০ মে বুধবার সন্ধায় গলায় ফাঁস দিয়ে সুমাইয়া আক্তার( ২০) নামের এক গৃহবধু আত্বহত্যা করেছে। ঘটনাটি ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর গ্রামে। নিহত সুমাইয়ার পারিবারিক সুত্র থেকে জানা গেছে, গত প্রায় ৫ বছর পূর্বে চরভদ্রাসন উপজেলার এম,পি ডাঙ্গী গ্রামের খালেক সেখের পুত্র লিটন সেখের সাথে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। কিন্তু স¤প্রতি কিছুদিন যাবৎ স্বামী লিটন সেখ স্ত্রী সুমাইয়ার উপর নির্যাতন করে আসছিল। গত ২৪ মে রাতে স্বামী লিটন সুমাইয়ার বাড়িতে এসে জানান সুমাইয়া অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে গেছেন। ঐ সময় সুমাইয়ার বাবা প্রবাসি থাকায় দাদা ইমারত খন্দকার রাত ১১ টায় স্বামী লিটনের বাসায় গিয়ে জানতে পারেন যে সুমাইয়া লিটনের মামির বাড়িতে অবস্থান করছে। তখন সুমাইয়াকে নিয়ে ইমারত খন্দকার তাঁর স্বামি লিটনের বাড়িতে গেলে স্বামী লিটন সুমাইয়ার পরিধেয় গহনা খুলে রেখে তাঁকে তারিয়ে দিলে ইমারত খন্দকার সুমাইয়া নিয়ে রাত ২ টার সময়ে বাড়ি চলে আসেন। পরে গত ৩০ মে দুপুরে স্বামী লিটন সেখের চাচী ও মামী সুমাইয়াদের বাড়িতে এসে সুমাইয়াকে রেখে তাঁর ৩ বছরের শিশু পুত্র সিয়াম কে নিয়ে যেতে চান। এবং স্বামী লিটন তার স্ত্রীকে আর বাড়িতে নেবেন না বলেও জানান তাঁরা। পরে ঐ দিন রাতে সুমাইয়া তাঁর বাবার বাড়িতে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্বহত্যা করেন। ১ জুন সুমাইয়ার লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য ফরিদপুরে প্রেরণ করা হয়। নিহত সুমাইয়া সদরপুর উপজেলার পূর্ব শ্যামপুর গ্রামের প্রবাসি দেলোয়ার বেপারীর কন্যা। তাঁর ৩ বছরের সিয়াম নামের এক পুত্র সন্তান রয়েছ।