আবুলহাসনাত ঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল ২ জানুয়ারি ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা। পাশাপাশি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের শহর শাখার মাঠে নৌকার আদলে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। শহর ঘুরে দেখা গেছে, শহরে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রতিটি মোড়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অবস্থান ছিল। সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়,
নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ এবং অন্যান্য কাজ প্রায় শেষের দিকে। মাঠটি চারদিকে বাউন্ডারি ওয়ালে ঘেরা থাকায় দুটি গেট দিয়ে জনসাধারণের ঢোকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা চোখে পড়ে। এ ছাড়া রঙিনভাবে সাজানো হচ্ছে পুরো শহরকে। নতুন করে রং করা হয়েছে সড়ক ডিভাইডারগুলোতেও। শহরকে রাত দিন ধরে সাজাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকেরা। জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল দুপুরে ফরিদপুরে পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে এসেই মধ্যাহ্নভোজ করবেন। পরে বেলা ৩ টার দিকে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন এবং প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। এদিকে ফরিদপুর জেলা শহরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে উচ্ছ্বাসিত দলীয় নেতা—কর্মীরা। জনসভাকে সফল করতে এক কাতারে কাজ করছেন জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা। নেতা—কর্মীরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে তা নিরসন হবে। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মোঃ ইশতিয়াক আরিফ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা—কর্মীরা অভিমানী হয়, কিন্তু বেইমান হয় না।
ক্ষোভ বা অভিমান থাকতেই পারে। তবে শেখ হাসিনা যখন ফরিদপুরে আসবে আমি বিশ্বাস করি, সকল নেতা—কর্মী ভেদাভেদ ভুলে এই জনসভায় অংশ নেবে। শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার ঘেরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছি। যেখানে ইউনিফর্ম পুলিশ, সাদাপোশাকের পুলিশ, সিভিল পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ রয়েছে। পাশাপাশি পর্যাপ্তসংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, এসএসএফ, ডিজিএফআই ও আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।