গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রাক-প্রাথমিক ও সহজ কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক খালিদ মল্লিকের বিরুদ্ধে।
মুকসুদপুর উপজেলার প্রভাকরদী গ্রামের মৃত্য আব্দুল রউফ মল্লিকের ছেলে খালিদ মল্লিক । বিভিন্ন, দূর্নিতি ও টাকা আত্মসাতের বিষয়ে গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মুকসুদপুর পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের উত্তর পাড়া নতুন জামে মসজিদ কমিটি।
অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ২০১৬ সাল থেকে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে পরিচালিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক মুকসুদপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কেন্দ্রে মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গনশিক্ষা, সহজ কোরআন শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষা পরিচালনা করা হচ্ছে এই সুবাধে মুকসুদপুর উপজেলার কলিয়া হযরত আবুবক্কর (রাঃ) জামে মসজিদ নামে ভুয়া একটি কেন্দ্রের নাম বানিয়ে প্র্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রতি মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে র্দীর্ঘ দিন যাবৎ বেতন তুলে আত্মসাৎ করে আসছেন প্রতারক খালিদ মল্লিক।
নামপ্রকাশে অনুচ্ছিুক কয়েকজন বলেন, খালিদ মল্লিক ভুয়া কাজী অফিসের সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রতারনা করেন ।
কলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বরকত বলেন, আমাদের গ্রামে হযরত আবুবক্কর (রাঃ) জামে মসজিদ নামে কোন মসজিদ,নেই কেউ যদি নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণা করে তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত।
মুকসুদপুর উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আল-আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরে আমি বিষয়টি তদন্তে গিয়েছিলাম, প্রাথমিক ভাবে তার বেতন বন্ধ করে দিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবন্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন খালিদ মল্লিকে আমরা অনেক বার কেন্দ্র পরির্দশনে গিয়ে পাইনি ফোন দিলে তিনি জানান গোপালগঞ্জ কাজে গেছে। আগে তাকে মৌখিক ভাবে অনেক বার সাবধান করা হয়েছে। ওমরা হজে গেছে কোন রকম অফিসে না জানিয়ে সরকারে কোন নিয়মের তোয়াক্কা করে না খালিদ মল্লিক ।
পৌরসভা ২নং ওয়ার্ডের উত্তর পাড়া নতুন জামে মসজিদ কমিটি জানান, খালিদ মল্লিক কোনদিন আমাদের মসজিদে মক্তব পড়ান না। কলিয়া হযরত আবুবক্কর (রাঃ) জামে মসজিদ নামে ভুয়া একটি কেন্দ্রের নাম দিয়ে বেতন তুলে নিচ্ছে।