সকল জল্পনা-কল্পনা আলোচনা সমালাচনার অবসান ঘটিয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেল গোপালগঞ্জ-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়া। প্রথম ধাক্কায় ন্যুয়ে পড়েছে ফারুক খান। নতুন করে হিসাব মিলাতে বসেছে মুকসুদপুর কাশিয়ানীর ভোটারা। সাধারণ জনগণ মনে করছে, শেখ হাসিনার উন্নয়নের হাওয়া হতে বঞ্চিত গোপালগঞ্জ- ১ আসনের জনগণ দোষছে নৌকা প্রতীক নিয়ে বারবার নির্বাচিত ফারুক খানকে। তারা মনে করছে খান সাহেবের কারণে নজরে পড়ার মতো এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়নি। হয়তো এ কারণে ভোটাররা সুর পাল্টিয়েছে। বোল পাল্টিয়ে ভাবছে নতুন কিছু। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের খেলায় তারা ফারুক খানকে ভোট দিবেন না। তারা মনে করে, এখানে ফারুক খান হারলেও নৌকা জিতবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাযায়, নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির প্রথম দিনেই প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছে গোপালগঞ্জ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়া। কাবির মিয়ার প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টিকে ভোটাররা প্রাথমিক বিজয় বলে মনে করছে। এ আসনে নৌকার প্রার্থী মুহাম্মাদ ফারুক খান থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়াসহ বিভিন্ন দলীয় প্রতীকের ৪ জন প্রার্থী রয়েছে। মুকসুদপুর কাশিয়ানীর গণমানুষের নয়া ভাবনার প্রতীক কাবির মিয়া প্রার্থিতা ফিরে পেয়েই শতভাগ জয়ের আশা ব্যাক্ত করেন সাংবাদিকদের কাছে। এক প্রতিক্রিয়ায় কাবির মিয়া বলেন, ফারুক খানের সঙ্গে মাঠে খেলা হবে। ২৭ বছর ধরে গোপালগঞ্জ-১ আসনে ফাকা মাঠে গোল দিয়ে আসছে ফারুক খান এবার আর তা হবে না। সর্মাথকদের উদ্দেশ্য কাবির মিয়া আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের আচরন বিধি মেনে চলছি, প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছি এই জন্য কেউ হই উল্লাস করবেন না । ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরু তখন থেকে পুরোদমে মাঠে কাজ করব। এসময়ে তিনি আরও বলেন, আমি সেবা করতে আসছি, হারলেও সাধারণ মানুষের সাথে থাকবো। ১০ ডিসেম্বর সকাল থেকে শুরু হয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দেওয়া মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি। নির্বাচন কমিশন মিলনায়তনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার কমিশনার আপিল শুনানি করছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রার্থিতা বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের সময়সীমা শেষ হয়েছে শনিবার। ৫ ডিসেম্বর আপিল শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫৬১টি আবেদন পড়েছে। প্রথম দিন ৪২ জন, দ্বিতীয় দিন ১৪১, তৃতীয় দিন ১৫৫, চতুর্থ দিন ৯৩ জন । শেষদিন শনিবার আপিল আবেদন করেন ১৩০ জন। আপিল আবেদনের মধ্যে ৩২টি আবেদন পড়েছে বৈধ প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল করার জন্য। এসব প্রার্থী নিয়ে পর্যায়ক্রমে আপিল শুনানি করবে ইসি। প্রথম দিনেই নিজের প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে অনেকেই নির্বাচন কমিশন মাঠে সেøাগান দিচ্ছেন এবং উচ্ছ¡াস প্রকাশ করছেন। গোপালগঞ্জ- ১ আসনে মানুষ এরার সামন্তবাদী চিন্তা চেতনা ও ক্ষমতায় বিশ্বাসী ফারুক খানের পরাজয়ের মধ্যদিয়ে শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রগতি সমৃদ্ধির সাথে একত্বতা ঘোষণা করলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না। এই আসনের সাধারণ ভোটাররা মনে করছে এবার ভোটের মাঠে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে। জয় পরাজয়ের খেলা হবে। আসবে নতুন মুখ।