দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়বেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান নেতা জন দরদী ও সমাজসেবক কাবির মিয়া।
বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র এ্যড. আতিকুর রহমান মিয়া এবং প্রার্থীর সহধর্মীনী ও কন্যাসহ সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো মনে হচ্ছিল এ যেন এক জনসূমদ্ররের দেশ।
মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়া বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি । আমরা জানি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কখনো মিথ্যা বলেন না তিনি আশ্বাস দিয়েছেন শান্তি পূর্ণ ভাবে প্রতিন্দিতা মূলক নির্বাচন হবে। ভোটাররা যদি ব্যপক ভাবে উপস্থিত হয় সে ব্যাপারে নেত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন তাতে সুন্দর ভাবে নির্বাচন হবে আমি বিশ্বাষ করি।
কোন শস্কা আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে ব্যাপারে নেত্রী যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে তাতে শস্কা থাকার কথা নেই। আপনার জানেন আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম উপজেলা নির্বাচনের সময় অনেক ধাধা বিপত্তির ভিতর দিয়ে উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি এবং দীর্ঘ ৫ বছর জনগনের সেবা করেছি। শুধু সেবাই নয় রাত ২ টা তিনটা ও পাচটার সমায়ও মানুষের সেবার জন্য মাঠে-ময়দানে কাজ করেছি। এবার সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো ইনশেআল্লা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়ার সহধর্মিনী বলেন, গত উপজেলা নির্বাচনে আমরা যেভাবে লড়াই করে জিতেছি সেটা জনগন যানে। আমার সাহেব উপজেলা চেয়ারম্যান থাকা কালিন যতটুক সরকারি অনুদান পাওয়ার কথা তার কিছুই পাননি। তার পরেও তিনি থেমে থাকেনি সব সমায় মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থাকার চেষ্ঠা করেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কাবির মিয়ার কন্যা বলেন, আমার বাবা যখন উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন তখন আমারা ৭০ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছি। এবার আমরা বিপুল ভেটে জয়লাভ করবো আমরা ইনশেআল্লা। শস্কার কথা বলতে গেলে এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি।
প্রসঙ্গত, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তারা তা বাছাই করবেন ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।